আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে সাহিত্য পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের অন্যতম সদস্য কবি সাইদুর রহমানের ঘরে আয়োজিত সাহিত্য পাঠের আসরে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ওমর আলী মাস্টার। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আসিফ জাহান।
কবি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় কবিতা পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, গাঙচিল সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি হাবিবুর রহমান মজুমদার, কবি জামিরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান আলোচক কবি আসিফ জাহান বলেন, সাহিত্য বলতে লিখিত বা মৌখিক শিল্পকে বোঝায়, যা মানবজীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করে। এটি কেবল একটি শব্দ বা বাক্য নয়; বরং কবিতা, গান, প্রবন্ধ, নাটকসহ বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হয়। সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়, কুসংস্কার দূর করা হয় এবং মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক চেতনা জাগ্রত করা হয়।
প্রধান অতিথি ওমর আলী মাস্টার বলেন, সাহিত্যকে শিল্পের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি মানব ও সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবি, যা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনা ও সংগ্রামকে তুলে ধরে। সাহিত্য মানুষের চিন্তাভাবনা, আবেগ-অনুভূতি ও উপলব্ধির প্রকাশ। সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলার একটি শক্তিশালী মাধ্যম সাহিত্য। এটি পাঠককে চিন্তা করতে শেখায়, কুসংস্কার দূর করে এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি হামিদুল ইসলাম বলেন, সাহিত্য মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করে। কবিতা বা গান হলো ছন্দবদ্ধ রচনা, যা কবির সংক্ষিপ্ত অনুভূতি ও চিন্তার প্রকাশ। নির্দিষ্ট সুর, তাল ও লয়ে উচ্চারিত ছন্দবদ্ধ রচনা বা সংগীত। নাটক বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে লেখা একটি সুসংগঠিত আলোচনা যা অভিনয়ের জন্য রচিত হয়ে মঞ্চে উপস্থাপিত হয়। উপন্যাস হলো মানবজীবন ও সমাজকে কেন্দ্র করে লেখা একটি দীর্ঘ কাহিনি।