
আলমডাঙ্গার কৃতিসন্তান শিল্পপতি দানবীর বাবু গিরিধারী লাল মোদির অন্তেষ্টিক্রিয়া গতকাল বেলা ২টার সময় সম্পন্ন হয়েছে। তার সৎকাজ করান নেপাল থেকে আগত ঠাকুর পবন কুমার সানহাই। গতকাল আলমডাঙ্গা মহাশ্মশানে তার মরদেহ দাহ করা হয়।
তার আত্মীয় দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভারত থেকে আগত তার বড় ভাই বাবু ওংকার লাল মোদি, জামাই আনন্দ বাবু, লক্ষন শর্ম, কিষন শর্ম, লক্ষন মোদি, গনেশ লাল মোদি, ছোট ভাই বিজয় লাল মোদি। এর আগে উত্তরা ট্রেডার্সের ভিতরে তার মরদেহ রাখা হলে তাকে একনজর দেখতে আসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, সাবেক এমপি মকবুল হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জামাতের প্রার্থী এ্যাড, রাসেল, পৌর জামাতের আমির, উপজেলা জামাতের আমির শফিউল আলম বকুল, জামাতের নেতা সাবেক চেয়ারম্যান দারুস সালাম, বিএনপি অপর অংশের নেতা শেখ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযুদ্ধা ডাক্তার শাহাবুদ্দিন, জাসদ নেতা সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, কাজী রবিউল হক।
বনিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম, খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরি, বাবু প্রশান্ত অধিকারী, লিপন বিশ্বাস, ডাক্তার গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
এছাড়াও তার দাহ কাজে অংশ নিতে নেপাল, ভারত সহ ঢাকা থেকে বহু শিল্পপতি অংশ নিয়েছিল। এছাড়াও খুলনা, নোয়াপাড়া, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, চিলাহাটি, বগুড়া, সন্তাহার সহ উত্তরবঙ্গের বহু ব্যাবসায়িগণ তাকে একনজর দেখার জন্য এসেছিলেন। এছাড়াও ভারত থেকে তার আত্মীয় স্বজন এসেছিলেন বলে জানা গেছে। তার অবদানের কথা তুলে ধরেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ।
আলমডাঙ্গা কালীমন্দির নির্মাণ, শ্রী শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দির পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকায়ন আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বীতল ভবন নির্মাণসহ বহু ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ছিল তাঁর অসামান্য অবদান। এলাকার নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত চাঁদা প্রদান ও আয়োজন তদারকিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকতেন। অর্থ, বস্ত্রদানসহ বিভিন্ন দান-খয়রাতের মাধ্যমে তাঁর উদার মানসিকতার পরিচয় সর্বত্র মিলেছে।
শিক্ষাক্ষেত্রেও গিরিধারী লাল মোদির অবদান অনস্বীকার্য। কন্যার বিবাহে আগত বরযাত্রীদের রাত্রিযাপনের জন্য নির্মিত অবকাঠামো পরবর্তীতে আলমডাঙ্গা পাইলট গার্লস হাইস্কুলের জন্য দোতলা হলরুমে রূপান্তর করে দেন। এছাড়া আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ পশুহাট জুনিয়র হাইস্কুল, চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনস স্কুল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য করেন তিনি। আলমডাঙ্গা উপজেলা মহাশ্মশান দালান নির্মাণেও তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। তিনি নওয়াপাড়া স্বশান ঘাট সহ আধুনিক শ্বসনা নির্মাণ করেছেন।
তাঁর কাকা সত্য নারায়ণ মোদী ছিলেন আলমডাঙ্গার একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবী, ক্রীড়ামোদী ও ক্রীড়া সংগঠক, যিনি আলমডাঙ্গা পাইলট গার্লস হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।