
আলমডাঙ্গায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ৭ টি মূল্যবান গাছ মাত্র ১ লক্ষ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গা-সরোজগঞ্জ সড়কের সাতকপাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বেলগাছি অভিমুখে নামমাত্র দরপত্রের মাধ্যমে গাছ কাটার অভিযোগ ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ৭টি মূল্যবান গাছ মাত্র ১ লাখ টাকায় দরপত্রের মাধ্যমে কেটে ফেলা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ গাছগুলো অকারণে কেটে ফেলা হয়েছে, যা পরিবেশ ও জনস্বার্থবিরোধী।এই গাছ কাটার জন্য প্রতিবাদে ফেটে পড়ছে আলমডাঙ্গাবাসী। গাছ কাটার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার দুপুরে স্থানীয়দের উদ্যোগে “সম্মিলিত আলমডাঙ্গাবাসী” ব্যানারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, “চুয়াডাঙ্গা একটি দুর্যোগপ্রবণ জেলা। এখানে গরমে প্রচণ্ড গরম আর শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডা দেখা দেয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। অথচ চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের টেন্ডারের মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিকভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী চার ইঞ্চি রেখে গাছ কাটার কথা থাকলেও বাস্তবে ৫-৬ ফুট গভীর করে কেটে ফেলা হয়েছে, যা সড়কের ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, টেন্ডারে ৭টি গাছ কাটার অনুমতি থাকলেও এর মধ্যে সুস্থ ও ব্যবহারযোগ্য গাছও কেটে ফেলা হয়েছে। টেন্ডারে গাছের মূল্য নির্ধারণ করা হয় মাত্র ১ লাখ ৭ হাজার টাকা, অথচ বাজারমূল্যে এর মূল্য ছয় থেকে সাত গুণ বেশি। এতে স্পষ্ট অনিয়ম ও স্বার্থসংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত মেলে।
অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান দাবি জানান— কাটা গাছের গর্ত দ্রুত ভরাট করা, সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের লাইসেন্স বাতিল করা এবং টেন্ডার থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে আলমডাঙ্গায় নতুন করে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “প্রশাসন উদ্যোগ না নিলে আমরা নিজেরাই নির্বাচিত স্থানে গাছ লাগাব।”
অনুষ্ঠান শেষে প্রতীকীভাবে মেহগনি ও আম গাছ রোপণ করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষ বড় বড় গাছ বিনা কারণে কেটে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।