
আলমডাঙ্গা উপজেলার দুই কৃতি সন্তান ৪৮ তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. প্রশান্ত কুমার ধর। তিনি ৪৮তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
ডা. প্রশান্ত কুমার ধর শ্রী পরিমল কুমার ধরের বড় ছেলে। ছোটবেলা থেকেই তিনি শিক্ষাজীবনে মেধার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে আসছেন। ২০০৬ সালে চিৎলা রুইথনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। ২০১২ সালে সি.এইচ.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হন। ২০২০ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট (NIKDU)-এ ইউরোলজি (কিডনি সার্জারি) বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
অপরদিকে আলমডাঙ্গার চিকিৎসা জগতের অন্যতম জনপ্রিয় চিকিৎসক এবং গরীবের ডাক্তার নামে খ্যাত ডা. শাফায়েত উল্লাহ ও মোছাঃ নাসিমা বানু বন্যার একমাত্র কন্যা ডাঃ নাফিসা আনজুম (হিমু) ৪৮তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় সহকারী সার্জন পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। ডা:নাফিসা আনজুম হিমুর পিতা আলমডাঙ্গা ও তার আশেপাশের এলাকার মানুষের কাছে অতি প্রশংসনীয় ও জনপ্রিয় চিকিৎসক সাফায়েত উল্লাহ। তিনি এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে অচল অবস্থায় বিছানায় কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন-যাপন করছেন। এলাকার মানুষ আজও তাঁকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে।
ডাঃ নাফিসা আনজুম হিমুর এই সাফল্য এলাকাবাসীর মনকে আবার নাড়া দিয়েছে। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে হয়তো তিনি আবার পিতার ছায়ায় আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন বলে এলাকাবাসীর সুধীজনেরা মনে করেন।
ডাঃ. প্রশান্ত কুমার ধর ও ডাঃ নাফিসা আনজুম হিমুর এই ধারাবাহিক সাফল্য চুয়াডাঙ্গার তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকেই তাদের এই অর্জনে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।