
আলমডাঙ্গা ইটভাটা মালিকেরা উচ্ছেদ অভিযান ও আর্থিক ক্ষতির ভয়ে আতঙ্কে দিন যাপন করছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চারটি ইটভাটা উচ্ছেদ হওয়ার দৃশ্য দেখার পর আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাটা মালিক ও দিন মজুর শ্রমিকরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। অধিকাংশ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন বৈধ অনুমোদন না থাকায় এই আতঙ্কের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৮৩টি ইটভাটা রয়েছে, যার মধ্যে আলমডাঙ্গা বৃহত্তর উপজেলায় ২০টি ইটভাটা অবস্থিত। প্রতিটি ইটভাটায় গড়ে ৩০০ শ্রমিক, গাড়ি চালকসহ লেবার ও ব্যবসায়ীদের সাথে মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত।
ইটভাটার প্রস্তুতি, অবকাঠামো, কাঁচামাল সংগ্রহ এবং জ্বালানি ব্যবহারের বিষয়গুলো ২০১৩ সালের আইন ও ২০১৯ সালের সংস্কার অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত। ২০২২ সালে সংযোজন করা হয়েছে, যদি কোনো ইটভাটা ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকে, তবে তার অনুমোদন বাতিল করা হবে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর ইট পোড়াতে গাছের খড়ির পরিবর্তে কয়লা ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
আলমডাঙ্গার ২০ জন ইটভাটা মালিক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। আলমডাঙ্গা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আসিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই মরসুমে ইটভাটায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি। যদি ইটভাটা বন্ধ বা উচ্ছেদ করা হয়, তাহলে আমি ও আমার শ্রমিকরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ব।


