আলমডাঙ্গার কুমারি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি ঘর দেবার নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

স্বামী হারানো বৃদ্ধা নিমরী খাতুন। সে রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করেই জিবন যাপন করে। ভেঙে পড়া মাটির দেওয়াল ও মরিচা ধরা ফুটো টিনের ঘরেই দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে।

গত ৪ বছর পূর্বে একটি সরকারি ঘর পাবার আশায় তিনি কুমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সরাপন্ন হয়। ঘর পেয়ে দেবার নামে স্বামী হারা নিমরী খাতুনের নিকট থেকে তার গচ্ছিত ১০ হাজার টাকা নেয় কুমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু।

মাসের পর কয়েক বছর পার হলেও কাঙ্খিত ঘর জোটেনি নিমরী খাতুনের ভাগ্যে। এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে নিমরী খাতুন।

এমন ঘটনা শুধু নিমরী খাতুনের নয়। আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টুর বিরুদ্ধে সরকারি ঘর দেবার নামে একাধীক ব্যাক্তির নিকট থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৩/৪ বছর পার হলেও ঘর দেবার নামে টাকা নিলেও ঘর না পেয়ে ভুক্তভোগীরা হতাশায় ভুগছেন।

ঘর না পেয়ে তাদের টাকা ফেরৎ চাইতে গেলেও তাদের বিভিন্ন গালিগালাজ ও হুমকির সম্মূখিন হতে হয় বলেও অভিযোগ তোলেন।

কুমারি ফারাজি পাড়ার বাসিন্দা মোতালেব ফারাজির ছেলে ভ্যান চালক মনিরুল হোসেন। সে পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ব্যাক্তি। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর কুমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টুর নিকট সরকারি ঘর পাবার আশায় যায়। তার নিকট থেকেও ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ১০ হাজার টাকা নেয়।

ঘর দিতে না পারলেও তার উপার্জিত অর্থ ফেরৎ দেয়নি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু। টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়।

এছাড়াও একই গ্রামের নেকা খোকার ছেলে আনার হোসেনের নিকট থেকেও ঘর দেবার কথা বলে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের দিনমজুর নবারেক হোসেনের ছেলে নবীর নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা নেয় ঘর দিবে এমন প্রতিশ্রুতিতে।

ভুক্তভোগীদের দাবি-নির্বাচনের ৫ বছর পর আবারো আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গত ৩/৪ বছর আমরা সরকারি ঘর পায়নি। চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু সরকারি ঘর দেবার নামে আমাদের নিকট থেকে যে ১০ হাজার করে টাকা নিয়েছে সে টাকাও ফেরৎ দিচ্ছে না। জেলা প্রশাসক ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

সরকারি ঘর আমাদের ভাগ্যে নেই। আমাদের নিকট থেকে চেয়ারম্যান পিন্টু যে টাকা নিয়েছে সেগুলো উদ্ধার করে দিলে আমরা টিনের ঘর করে বসবাস করতে পারি।

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নূর জানান, সরকারি ঘর দেবার নামে কোন অর্থ বাণিজ্য মেনে নেওয়া হবে না। আমাদের নিকট ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে আমরা