আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউপির উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের আসন্ন ২০ অক্টোবরের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন নাজমুল হোসেন। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এমএ পাশ করে গ্রামে ফিরে নিজের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

ইতোমধ্যে ডাউকি ইউনিয়নজুড়ে সব শ্রেনি পেশার মানুষের মাঝে নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মেলে ধরতে পেরেছেন নাজমুল। তিনি পুরো ইউনিয়নেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন গ্রামের ভোটাররা। শিক্ষিত, সদালাপি ও তরুণ রাজনীতিবিদ নাজমুল হোসেন নির্বাচন ও ডাউকি ইউনিয়নবাসীর ভাগ্যবদলের নানাদিক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এই প্রতিনিধির সাথে। মেহেরপুর প্রতিদিনের পাঠকদের জন্য নাজমুল হোসেনের কথাবার্তা তুলে ধরা হল:-

মে.প্রঃ আসন্ন উপনির্বাচনে ভোটারদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

নাজমুলঃ আমার নিজ গ্রাম ডাউকি ছাড়াও বাদেমাজু, বিনোদপুর ও পোয়ামারী গ্রামবাসী আমাকে তাদের গ্রামের ছেলে হিসেবে দেখেন। আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা সবার সাথে আমার ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে। আমি বড়দের সম্মানের চোখে দেখি। তাঁরাও আমাকে স্নেহের চোখে দেখেন। এছাড়াও ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রামের ভোটাররা আমাকে তাঁদের কাছে টেনে নিয়েছেন। এতে করে আমি চরম আশাবাদী।

মে.প্রঃ ইউনিয়নে দরিদ্রদের জন্য সরকারি প্রণোদনায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে কিছু বলুন।

নাজমুলঃ দেখুন আমি একজন খুব সাধারণ পরিবারের সন্তান। দারিদ্র কি আমি খুব ভাল করে জানি। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছি মানবিক মানুষ হওয়ার জন্য। যাদের ভেতরে মানবিক গুণাবলী আছে তারা কখনও গরীবের হক মারবে না। দরিদ্রদের জন্য সরকারি যত রকমের ভাতা আছে আমি প্রকৃত দরিদ্রদের মাঝে সেই ভাতা তুলে দিতে চাই। আমি সব ধরনের মানুষের পাশে থাকতে চাই। ইউনিয়নবাসিকে সেবা করতে চাই।

মে.প্রঃ এই নির্বাচনকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিভাবে দেখছেন?

নাজমুলঃ স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক বিবেচনায় কখনও অনুষ্ঠিত হয় না। এখানে প্রার্থীর ভালমন্দ বিচার করে ভোটাররা ভোট দিয়ে থাকেন। যাকে যোগ্য মনে করবেন ভোটাররা তাকেই ভোট দিবেন। ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর তেমন প্রভাব পড়ে না। আমি সব দলের ভোটারদের কাছ থেকেই সহযোগীতা পাব ইনশাল্লাহ।

মে.প্রঃ আপনি তো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। আপনার দল থেকে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এটাকে কিভাবে দেখছেন ?

নাজমুলঃ আগেই বলেছি স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রভাব খুব একটা কাজে আসেনা। আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছি। এরআগে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ছাত্রলীগ থেকে উঠে এসেছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এই পদের আগে দলের কোন পদে ছিলেন তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কেউ জানেন না। তবে ভোটাররা তাদের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিবেন আশা করি।

মে.প্রঃ ইউনিয়নবাসীর উদ্যেশ্যে কিছু বলুন।

নাজমুলঃ আমি ইউনিয়নবাসীর সুখে-দুঃখে তাদের সাথে থাকতে চাই। আমি ইউনিয়নবাসীকে সেবা করতে চাই।