আলমডাঙ্গার বেলগাছির তুরাল ডাকাত আবারো বেপরোয়া

আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের কুখ্যাত তুলার ডাকাত আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একাধিক মামলার আসামী তুরাল ডাকাত গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বেলগাছি গ্রামের এক গরু ব্যবসায়ীর বাড়িতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। রাজু নামের ওই গরু ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে গোয়াল থেকে গরু ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সে বাড়ির দরাজা-জানালা রাম দিয়ে কোপায়।

এলাকা সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে বহু অপকর্মের হোতা বেলগাছি গ্রামের মৃত রমাজান আলীর ছেলে তুরাল ডাকাত দুমাস আগে গ্রামের মৃত ভিকু মালিতার ছেলে গরু ব্যবসায়ী রাজুর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা না পেয়ে সে হুমকি দিলে রাজু থানায় জিডি করে।

এ বিষয়ে জিডি করার পর তুরাল ডাকাতের স্ত্রী ও ভাই গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আর চাঁদা চাইবেনা বলে ৫ হাজার টাকা নিয়ে আপোষ করে। আপোষের কয়েকদিন অতিবাহিত হবার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় তুরাল ডাকাত রাজুর বাড়িতে গিয়ে আবারো চাঁদার টাকা দাবী করে বাড়িতে ব্যাপক হামলা চালিয়ে রাম দা দিয়ে জানালা দরজা কপিয়ে জখম করে বলে রাজু অভিযোগ করেছে। তার ভয়ে রাজু ও তার পরিবার ভীত সন্ত্রস হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তুরাল একজন কুখ্যাত ডাকাত। ছেলে বেলা থেকেই সে গরুসহ বিভিন্ন চুরি দিয়ে অপরাধ জগতে পর্দাপণ করে। ২০- বছর আগে শিয়ালমারী-বটিয়াপাড়ার একটি হত্যার ঘটনায় তার নামে মামলা দায়ের হয়। সে ঘটনায় জেল খেটে গত ৭বছর আগে জেল থেকে বের হয়ে এসে আবারো চুরি-ডাকাতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। গ্রামে বোমা হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করে। এ ঘটনায় ওই সময় তার নামে মামলা দায়ের করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানার এসআই জিয়া ও জসিম তাকে ধরতে গেলে তুরাল পুকুরে ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় দুই দারোগা তাকে জীবন বাজী রেখে আটক করে। বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের কৃত মামলায় সে জামিন নিয়ে গত ৩ মাস আগে বের হয়ে আসে। বের হওয়ার পর আবারও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।

অভিযোগ রয়েছে গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের কয়েক জনের ছত্রছায়ায় থাকে তুরাল ডাকাত।

মেপ্র/আরপি