আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রবিউলের ৭ বছর দাদাগিরি

আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে লাইসেন্স বানিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে দলিল লেখক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে । সে কুষ্টিয়া জেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।

দীর্ঘদিন যাবৎ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সমিতি ও দাপ্তরিক কর্মচারীদের আর্থিক আতাতের মাধ্যমে দলিল লেখকের কাজ চালিয়ে আসছে। ভুয়া নাগরিক ও জন্মনিবন্ধন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়েছে বলে অনেক দলিল লেখক অভিযোগ করেন।

স্থানীয় দলিল লেখকেরা অভিযোগ করে বলেন , গত ৭/৮ বছর পূর্বে আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের কাজ শুরু করেন রবিউল। সে নিজের বাড়ি কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামে দাবি করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করেন।

ভুয়া তথ্য ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা (ডিআরও) অফিসে দলিল লেখকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। তৎসম্পর্কে যাচাই-বাছাই না করে লাইসেন্স প্রদান করে ডিআরও অফিস।

এ নিয়ে বিগত দিন দলিল লেখকেরা প্রতিবাদ করলেও তা অদৃশ্য কারণেই ধামাচাপা পড়ে। এনিয়ে বিগত দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও (ডিআরও) বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করলেও রবিউলের লাইসেন্স পূর্ণবহাল থাকে।

ভুয়া দলিল লেখক রবিউল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে বাড়ি। তবে, দীর্ঘদিন যাবৎ আমি আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের কাজ করি। আমি আসাননগরে বসবাসের কারনে তখনই কাগজপত্র দিয়ে লাইসেন্স করেছি।

তিনি আরো জানান, এখনো ভোটার ও নাগরিক মীরপুর থানার আমবাড়িয়া ইউনিয়ন। দলিল লেখক রবিউলের নিকট লাইসেন্সের নাম্বার জানতে চাইলে সে দেখাতে পারেনি।

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমজেদ হোসেন জানান, কোনো দলিল লেখক ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদে লাইসেন্স পাবে না। যদি কেউ তার তথ্য গোপন রাখে তাহলে দলিল লেখক বরাবর দলিল রেজিস্ট্রি না করার জন্য দরখাস্ত প্রদান করা হবে।

তিনি আরো বলেন, রবিউলের বিষয়ে আমাদের নিকট কোন তথ্য নেই। আমি খোজখবর নিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।