আলমডাঙ্গায় অপহৃত শিশু উদ্ধার, আটক -৫

আলমডাঙ্গায় শ্বাসরুদ্ধ অভিযান চালিয়ে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর কাজী ফারহান সিফাত (৪) নামে একটি শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে থানা পুলিশ পৌর এলাকার আনন্দধামের ক্যানেলপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির চাচাসহ পাঁচ জনকে।
এ সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ৭ টি মোবাইল ও ১ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সিফাত আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার কলেজপাড়ার দাঁতের চিকিৎসক কাজী সজীবের একমাত্র ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে আলমডাঙ্গা থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত পাঁচজন হলেন- আলমডাঙ্গার কলেজনপাড়ার কাজী সুমন (২৮), একই আনন্দধাম এলাকার মিজানের ছেলে শাওন (২৫), লুৎফরের ছেলে আকাশ (২০), সেলিমের স্ত্রী রাশেদা (৪০) ও আশাননগরের আকমল শেখের ছেলে খোরশেদ (৩৫)। এদের মধ্যে কাজী সুমন হলেন অপহৃত শিশুটির বাবা কাজী সজীবের চাচাতো ভাই।
আলমডাঙ্গা থানা চত্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ৩১ শে মার্চ বুধবার বিকেলে কলেজপাড়ার নিজ বাড়ির সামনে থেকে মোটরসাইকেলে করে জুস কিনে দেওয়ার নাম করে সিফাতকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।
পরে রাতেই এ বিষয়ে শিশুটির বাবা কাজী সজীব আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
রাত ১০টার দিকে মোবাইলফোনে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে ওই শিশুটিকে খুন করার হুঁমকিও দেয় অপহরণ চক্রের সদস্যরা।
এর পরই অভিযানে নামে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা করা হয়।
অভিযানের একপর্যায়ে দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আনন্দধাম এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অপহৃত সিফাতকে উদ্ধার করাসহ ওই পাঁচজন গ্রেফতার করা হয়। অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ৭ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকেলে বাড়ির সামনে খেলার সময় শিশুটিকে কৌশলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতেই থানা পুলিশ শিশু উদ্ধার অভিযানে নামে। রাতেই শিশুর দাদার নিকট মুক্তিপণ দাবি করেন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তাদের আটক করে পুলিশ।