আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের ত্যাগী অবহেলিত নেতাকর্মিদের ব্যানারে নৌকা মঞ্চ গঠন

আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের ত্যাগী অবহেলিত নেতাকর্মিদের ব্যানারে নৌকা মঞ্চ গঠন

” আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গার বঙ্গবন্ধু আদর্শে অনুপ্রাণিত তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী, অবহেলিত নেতাকর্মী বৃন্দ”র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মত বিনিময় সভায় আওয়ামীলীগের নৌকা মঞ্চ গঠন করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় আলমডাঙ্গার থানাপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় গঠিত কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও সাবেক ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার আহমেদ বাবলুকে আহ্ববায়ক ও জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ মঞ্চ গঠন করা হয় ।

কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক করা হয়েছে পদ্মবিলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, কুতুবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন টাইগার, ইউপি আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল।

কাউসার আহমেদ বাবলুর সভাপতিত্ব এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কালিদাসপুর ইউপির সাবেক সভাপতি জালাল হোসেন, বেলগাছি ইউপির সাবেক সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, অগ্নিসেনাখ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মইন উদ্দীন আহমেদ, বাবুলাল দোবে,লাভলুর,ফজলুর রহমান,
খন্দকার বজলুর করিম,আবু তালেবসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ বলেন, দুই হাজার আট সালে আওয়ামীলগকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনারাই প্রত্যেকটা ইউনিয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আজকে আপনারাই দলের কাছে সবচেয়ে উপেক্ষিত। দুর্দিনের যারা নেতাকর্মি, তাদের কোথাও জায়গা নেই। যারা বিগত দিনে নৌকার বিরুদ্ধে ছিল, আজকে তাদেরকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি দলের পদ পদবী পাচ্ছে তারা।

চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি পকেটে পুরে করা হচ্ছে। ইচ্ছামত দল পরিচালনা করছেন।
বিগত দিনে আমরা দেখলাম জননেত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনে জিল্লুর রহমানকে নৌকা প্রতিক দিলো,জেলা থেকে বলা হলো এ নৌকা কাগজের নৌকা। নৌকাকে হারিয়ে দেওয়া হলো। সেই নির্বাচনে আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করেছিলাম। আমাদের অপরাধ আমরা নৌকার ভোট করেছি বলে আজ আমরা অবহেলিত। নির্যাতিত নিপীড়িত। বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে, আমাদের একটা সদস্য পদও দেওয়া হয়নি।

যেহেতু আমরা আওয়ামী লীগ করি,এই অবস্থায় আমরা আর বসে থাকতে পারিনা। প্রয়োজনে আমরা দলের কান্ডারি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করবো।দলের এই অবস্থার কথা তুলে ধরবো।