আলমডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কমেছে ১২০ টাকা

আলমডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কমেছে ১২০ টাকা

ঈদের ছুটি শেষ হতেই কাঁচা মরিচের দাম খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বাজারে প্রতি কেজিতে ১২০ টাকা কমেছে। একদিন আগেও শনিবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

আজ রবিবার দাম কমে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিন দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ১ সপ্তাহ হু-হু করে বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহের বুধবার ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় কাঁচা মরিচ। ঈদের ছুটি ও চাহিদা বাড়ায় প্রত্যেক দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে দাম । বাজার মনিটরিয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ক্রেতাদের । শনিবার পর্যন্ত আলমডাঙ্গা পৌর কাঁচামালের দোকান গুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি। একদিনের মধ্যেই রবিবার ১২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়।

পৌর শহরের কাঁচা-মাল বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদুল আজহার দুদিন আগেই হঠাৎ কাঁচামরিচের চাহিদা বেড়ে যায়। অনেক কৃষক গবাদিপশু বিক্রিতে ব্যস্ত থাকায় উৎপাদন কম হয়। একারণে আকাশ চুম্বী দাম পৌছাই কাঁচামরিচের।

বিক্রেতা নায়েব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষ হতেই কাঁচা ঝাঁলের দাম কমতে শুরু করেছে। বাজারে স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত সবজি ও কাঁচামরিচ মিলছে। শনিবারের তুলনায় অনেকটা দাম কমেছে। তবে, আগামি দিনগুলোতে কাঁচামরিচ সহ সবজির দাম আরো কমার আশা করছে ব্যবসায়ীরা।

বাড়াদী ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের কৃষক আজগার আলী জানান, এবছর ১ বিঘা জমিতে ঝাঁল চাষ করছি। অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদহে ১০ কাঠা জমির ঝাঁল গাছ মারা গেছে। কোরবানির পশু নিয়ে ব্যস্ততায় কেউ ফসলের খোঁজ রাখতে পারেনি। ঝাঁলের দাম বেড়েছে ১০ গুন। এঅঞ্চলের সকল কৃষকই গাছ থেকে এখন ঝাঁল সংগ্রহ করছে।

আলমডাঙ্গার বৃহত্তর ব্যবসায়ী সংগঠন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন জানান, নিয়মিত কাঁচা-বাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ঝাঁল সহ উর্ধমূখী সবজির দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঝাঁল ওসবজি সরবরাহ রয়েছে। এতেই দাম নিম্নমূখী।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস বলেন, কাঁচামরিচ সংকটের কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। আশানুরূপ দ্রুত বাজার দর স্বাভাবিক হয়ে আসবে।