আলমডাঙ্গায় কৃষককে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ

আলমডাঙ্গায় কচু ক্ষেতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে কৃষককে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার চর পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত কৃষক আনোয়ার হোসেন গেদা কালিদাসপুর ইউনিয়নের চর পাইকপাড়া গ্রামের মৃত রবজেল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের চর পাইকপাড়া গ্রামের মৃত রবজেল আলির ছেলে আনোয়ার হোসেন গেদা (৬০)। আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে মাঠ থেকে ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলো।
এসময় ছাগল গুলো একই গ্রামের ঘর জামাই নুরুল ইসলামের ছেলে রনির কচু ক্ষেতে ঢুকে যায়। রনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছাগল গুলো বেধড়ক মারপিট করে। ছাগল মালিক জাহানারা খাতুন বাঁধা দিলে রনি তাকেও মারপিট করে।
এ ঘটনায় জানাহারা খাতুন বাড়িতে ফিরে তার স্বামী আনোয়ার হোসেনকে জানায়। মারপিটের ঘটনাটি জানার জন্য মাঠে রনির নিকট গেলে সে আনোয়ার হোসেনকে ও মারপিট করে।
এলাকাসূত্রে জানাযায়, আনোয়ার হোসেন গেদা বয়সের পাশাপাশি সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ। সে গতকাল সোমবার ছাগল মারাকে কেন্দ্র করে মাঠে রনির নিকট যায়। রনি আনোয়ার হোসেনকে মারপিট করলে সে মাটিতে পড়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে।
উপস্থিত এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে আনোয়ার হোসেনের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে দ্রুত আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের পরিবার তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। হত্যার বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে জানালে থানার ওসি অপারেশন দেবব্রত, এসআই আব্দুল গাফ্ফারসহ সঙ্গী ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, আনোয়ার হোসেন গেদাকে হত্যার অভিযোগের পরেই পলাতক হয় অভিযুক্ত রনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রনির মা ফাতেমা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমঙ্গীর কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।