আলমডাঙ্গায় জেলা পরিষদের সদস্য আশাবুল হক ঠাণ্ডুর করোনায় মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য আশাবুল হক ঠান্ডু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি—-রাজেউন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

আশাবুল হক ঠান্ডু ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত হাজি সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি স্ত্রী-দুই ছেলেসহ দলীয় নেতাকর্মী ও অসংখ্য শুভাকাংখি রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে বড়বোয়ালিয়ার তাঁর নিজ বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জনপ্রিয় এই নেতা। জ্বর-ঠান্ডা ও শ্বাস কষ্ট অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভেন্টিলেটর দিয়ে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মরনঘাতি করোনার কাছে হার মেনে নেন। সর্বমহলে জনপ্রিয় এই নেতার জীবন অকালে করোনা কেড়ে নেয়।

জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যু খবর বিকেলে আলমডাঙ্গাসহ তাঁর নিজ ইউনিয়ন ভাংবাড়িয়ার হাটবোয়ালিয়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। হতবিহ্বল হয়ে পড়েন তাঁর ভক্ত অনুরাগীরা।

জানা গেছে, নিহত আশাবুল হক ঠান্ডুর সোহাগ ও সোহান নামের দুইটি ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে সোহাগ এমবিএ শেষ করে ঢাকার একটি কোম্পানীতে কর্মরত রয়েছে। ছোট ছেলে সোহান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স করছে। তারা তাদের স্বনামধন্য পিতাকে অকালে হাঁরিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

নিহত ঠান্ডুর চাচাত ভাই আওয়ামীলীগ নেতা জিনারুল ইসলাম জানান, লাশ বাড়িতে এসে পৌছতে গভীর রাত হয়ে যাবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় শুক্রবার সকাল ১০ টায় লাশ জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

এদিকে, আশাবুল হক ঠান্ডুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ শামসুল আবেদীন খোকন, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, হারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নুরুল ইসলাম ও ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাওছার আহমেদ বাবলু।