আলমডাঙ্গায় টিকা নিতে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন

আলমডাঙ্গায় প্রচণ্ড রোধে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে করোনার টিকা নিয়েছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবার অনেকে টিকা না নিয়ে চলেও গেছেন।

শনিবার আলমডাঙ্গা পৌর শহরের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনার টিকা নিতে আসা সাধারণ জনগণ এ অভিযোগ তোলেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দুর্ভোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ লোকজন জানান, শনিবার সকাল থেকে আলমডাঙ্গায় পূণরায় করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা নারী ও পুরুষের উপস্থিত হয় অনেক বেশি।

শহর কেন্দ্রীক টিকা কেন্দ্র হওয়ায় সকলে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা নিতে আসে। কিন্তু, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গা কম ও জনবল কম থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয় বিভিন্ন বয়সের নারী -পুরুষ।

সকাল ১১ টা থেকে তিব্র রোদের মধ্যে অসংখ্য নারী -পুরুষ টিকা নিতে জমায়েত হয়। রোদের প্রখর তাপে অনেকে অসুস্থতা বোধ করে। এছাড়াও অনেকে দীর্ঘ লাইনের কারণে টিকা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।

আলমডাঙ্গায় ৪ স্থানে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আলমডাঙ্গা হারদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পৌর শহরের উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মুন্সিগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খাসকররা উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

বর্তমানে আলমডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহ বেড়েছে অনেক গুন। তুলনা মূলক স্বাস্থ্য কর্মী না থাকার কারণে এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে অনেকে জানান।

আলমডাঙ্গা শহরের উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে আসা গোবিন্দপুরের ষাটোর্ধ বৃদ্ধা সাহারা বানু বলেন, দুই দিন আগে আর পরে মরবো তো। তাই সরকারের কথা মানতে সকাল ৯টায় এসে রোদে লাইনে দাঁড়িয়েছি। মাথার ঘাম পায়ে পড়েছে জামা কাপড় ভিজে গেছে। এরপর দুপুর ১টায় প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছি।

বাড়াদি এলাকার ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। সবাইকেই যেহেতু টিকা নিতে হবে তাই আমাদের দাবি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে টিকা কেন্দ্র করা হোক। এতে দুর্ভোগ কমে যাবে।

আলমডাঙ্গার কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, সকাল ১০টায় টিকা নিতে এসেছি। তখন থেকেই দেখছি নারী-পুরুষ লাইন ভেঙে কার আগে কে টিকা নিবে এমন তাড়াহুড়া করছে। এতে একে-অপরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে তাদের শান্ত করছে।