আলমডাঙ্গায় তুলার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি

আলমডাঙ্গায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে পৌর এলাকার হাইরোস্থ এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, তাৎক্ষণিক ভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ফায়ার সার্ভিস জানাতে পারে নি। ‘আলাউদ্দিন বেডিং সেন্টার’ নামের একটি তুলার গুদামে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আলাউদ্দিন বেডিং সেন্টারে লেপ, তোষক, গদি ও বালিশ তৈরির কাজ করে। দোকানের পাশেই এর গুদাম।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে পৌরসভার হাইরোডস্থ এলাকায় আলাউদ্দিন বেডিং সেন্টার ও আলাউদ্দিন ফার্ণিচার এন্ড পর্দা গ্যালারী নামে একই মালিকের দুটি প্রতিষ্ঠান। এখানে দীর্ঘদিন যাবৎ আলাউদ্দিন বেডিং সেন্টারে লেপ, তোষক, গদি ও বালিশ তৈরির কাজ করে আসছে।
দুপুর ১ টার দিকে হঠাৎ করে তুলার গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয়রা। এদিকে ওই গুদামে ৩ জন ব্যাক্তি লেপ তোষকের কাজ করছিলো। হঠাৎ আগুনের উপস্থিতি দেখে দৌঁড়ে বাইরে চলে আসে।  এসময় আগুন গুদামে ছড়িয়ে পড়লে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ, স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্ঠা চালায়। এদিকে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পানি বহনকৃত গাড়ির পানি ফুঁড়িয়ে গেলে তাদের পানি সংগ্রহ করতে বিপাকে পড়তে হয়।
এ আগুনের ত্রিব্য বেড়ে গেলে পাশের ২/৩ তলা বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার, পানির লাইন ও কালো ধোঁয়া ওই সকল বাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও, আলাউদ্দিন বেডিং সেন্টারের আগুনে পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজেও মালামাল নষ্ট হয়েছে। এ আগুনের ঘটনায় প্রায় ৩/৫ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী জিন্নাহ আলি।
আলমডাঙ্গার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন,‘ পৌর শহরে এ ধরণের আগুন লাগার ঘটনায় আমরা বিস্মিত। এ শহরে অপরিকল্পিত ভাবে বাড়ি ও পানি ব্যবহারের সুবিধা না থাকার কারণেই আজকের এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ক্ষতির সম্মূখিন হতে হয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে বাড়ি ও আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য পানির সুবিধা পৌর কতৃপক্ষ সহ স্থানীয়রা সুবিধা প্রয়োগ করলে আজকের এ অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে আলমডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা।
আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা বলেন, তুলার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা অনেক সময়ের ব্যাপার। এ আগুন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পরিমাণের পানির প্রয়োজন হয়। আমরা কঠোর ভাবে মজুদকৃত পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে, শহরের এ অঞ্চলে মজুদকৃত পানির উৎসহ পুকুর কিংবা খাল বিল না থাকায় পানি সংগ্রহ করতে ব্যাপক ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তুলার গুদামে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। ক্ষতির পরিমাণ ২/৫ লক্ষ টাকা আনুমানিক ভাবে বলা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।