আলমডাঙ্গায় তৃতীয় দিনে কড়া লকডাউন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের তৃতীয় দিনে আলমডঙ্গার সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে যথারীতি দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

কিন্তু বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারগুলোতে অনেকটাই শিথিল করোনার বিধিনিষেধ। শুক্রবার আলমডাঙ্গার উপজেলার মুন্সিগঞ্জ , খাসকররা, জামজামি , হাটবোয়ালিয়া ও আসমানখালিসহ বিভিন্ন মহল্লা ও বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শুধু পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান চলাচল করছে। তাও সংখ্যায় খুব অনেকটাই কম। মাঝে মাঝে দু-একটি অটো বাইক ও পাখি ভ্যান চলাচল দেখা করতে দেখা গেছে।

কুষ্টিয়া টু আলমডাঙ্গা সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখান থেকে যাতায়াতকারী প্রতিটি অটোবাইক ও পাখি ভ্যান গুলোকে পুলিশের চেকের মুখে পড়তে হচ্ছে।
চকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি আমরা চেক না করে ছাড়ছি না। উপযুক্ত অনুমতিপত্র না দেখাতে পারলে ফিরিয়ে দিচ্ছি’।

এছাড়াও পুলিশের চেকপোস্টের দুরত্ব অনুযায়ী পাখি ভ্যান ও অটো বাইকের নতুন স্টান্ড দেখা গেছে। এ স্ট্যান্ড শুধু সাধারণ মানুষ কাঁচা বাজার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে শহরে প্রবেশ করছে।তবে করোনার লকডাউনকে উপেক্ষা করে নির্দেশ অমান্য করে যারা আলমডাঙ্গা শহরে প্রবেশের চেষ্ঠা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। এরই কারণে সকাল থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) হুমায়ন কবির বাদশা সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। তাদের মোবাইল কোর্টের সার্বিক সহযোগিতা করছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

প্রতিদিনের ন্যায় সর্বাতœক লকডাউনের তৃতীয় দিন আলমডাঙ্গা পৌর শহরের হাইরোড, হলুদ পট্রি, গার্মেন্টস পট্রি, আনন্দধাম ,হাউসপুর, কালিদাসপুর , স্টেশন, লালব্রিজসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার শুক্রবার সাধারণ জনগণের উপস্থিতি অনেকটাই কম ছিলো।

জরুরি প্রয়োজন বিহীন কেউ শহর মূখি হচ্ছে না।
এদিকে আলমডাঙ্গা পৌর শহরের অনেক ওয়ার্ডেই খুলেছে দোকানপাট। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে মুদি মালামালসহ গরম চা। মাঝে মধ্যে পুলিশের মহড়া দেখে দোকান বন্ধ হলেও চলে গেছে আবারো একটু গোপনীয়তার মাধ্যমে বিক্রয় করা হয় বিভিন্ন মালামাল।

পৌর এলাকার কয়েকজন মুদি দোকানি বলেন, রমজানে মুদি দোকান না খুঁললে মানুষ কি দিয়ে ইফতারি করবে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে আখের গুড়,মিছড়ি,খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করে থাকে ক্রেতারা। লকডাউনের কারণে বাজার মূখি হতে না পারায় পাড়া-মহল্লার দোকান গুলো থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনছে। মাস্ক পরিধানের বিষয়ে তারা বলেন, আমরা প্রতিটি মানুষকে মাস্ক পড়ে দোকানে আসতে বললেও কেউ কথা শোনে না।

গত দুইদিনে দেখা গেছে, বিকেল হলেই মহল্লার ইফতারির খাদ্যপণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তখন স্বাস্থ্যবিধির বালাই থাকে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।