আলমডাঙ্গায় ধর্ষণের শিকার দশম শ্রেনির ছাত্রী

আলমডাঙ্গায় প্রেমের অভিনয় করে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে দশম শ্রেনির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষিতা গতকাল বুধবার (১ জুলাই) বিকালে থানায় এসে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চাইলে মামলা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রী।

তবে থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন, “একজন কারো বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিলেই তো মামলা হয় না। আগে খোঁজ-খবর নিতে হয়। আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে যদি ঘটনার সত্যতা পাই তাহলে মামলা নেওয়া হবে।”

ধর্ষিতার চাচাত ভাই সুজন জানান, আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির ছাত্রীকে (ভোকেশনাল) প্রেম নিবেদন করে আসছিল পাশ্ববর্তী বন্দরভিটা গ্রামের মুন্নাফ আলীর ছেলে সুমন। সুমনের বোন ওই ছাত্রীর চাচাত ভাই বিপ্লবের স্ত্রী। আত্মীয়তার সুযোগে সুমন অবাধে তার দুলাভাই বিপ্লবের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। বিপ্লব ও তার মা সুমনের সাথে প্রেমে উৎসাহিত করে তুলতো ওই ছাত্রীকে। এতে ছাত্রী কিছুতেই রাজি হয়নি।

সূত্র জানায়, ছাত্রীর অনিচ্ছায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিপ্লব ও তার মা সুমনকে বাঁকা পথে পরিচালতি করে। গত ২৯ জুন সন্ধ্যার আগে ছাত্রীকে অনেক বুঝিয়ে সুমনের সাথে মোটরসাইকেলে মাঠের রাস্তায় ঘুরতে পাঠায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন ছাত্রীকে নিয়ে পোলতাডাঙ্গা-মহেশপুর গ্রামের মাঝের নির্জন রাস্তায় নিয়ে যায়। মাঠের নির্জন জায়গায় গিয়ে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহনির চেষ্টা করে। ছাত্রী বাঁধা দিলে তাকে মারধরও করা হয়। এ সময় জোর করে রাস্তার পাশের পাট ক্ষেতে ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সুমন।

নির্জন রাস্তায় মোটরসাইকেল দেখে পথচারী মহেশপুর গ্রামের আশকার ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যান। এ সময় পাশের পাট ক্ষেত থেকে মেয়ে কণ্ঠের কান্না শুনে ধরে ফেলেন আশকার। ধরা পড়ার পর সুমন আশকারকে মারধর করে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মোবাইল করলে আত্মীয়স্বজন এসে মাঠ থেকে ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যান।

সুজন আরো জানান, দু‘দিন ধরে বিপ্লব ও গ্রামের কয়েকজন লোক থানায় মামলা না করতে চাপাচাপি করতে থাকে। কিন্ত ছাত্রীটি দৃঢ় হয়ে গতকাল বুধবার বিকালের দিকে থানায় এসে হাজির হয়।