আলমডাঙ্গায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

আলমডাঙ্গার খেজুরতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনায় তদন্তে সত্যতা পেয়েছে শিক্ষা অফিস।বুধবার (২ নভেম্বর) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তদন্তে বেরিয়ে আসে কাজ না করেও ভুয়া বিল দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা লুটপাট করে ।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে বিভাগীয় শাস্তির দাবি তোলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অবিভাবকেরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নে অবস্থিত খেজুরতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত কয়েক বছর যাবৎ খেজুরতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাসলিমা খাতুন দায়িত্বপালন করে আসছে।

ওই স্কুলে সাবেক সভাপতি হিসাবে দায়িত্বপালন করে খেজুরতলা গ্রামের জলিল মন্ডল। গত ৯ বছর যাবৎ তিনি এ দায়িত্বপালন করেন। বর্তমানে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম।

গত কিছুদিন পূর্বে খেজুরতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করে। স্থানীয় গণমাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ পায়। স্কুল কমিটির পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লিখিত প্রদান করেন।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী দুই শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও রশিদুল ইসলাম দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে।

বুধবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্তে ২০২০-২১ অর্থ বছরে বিভিন্ন খ্যাত দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচারে ২৮ হাজার ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১২ হাজার টাকা লোপাট করে।

এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। তিনি মোট ৪০ হাজার টাকা লোপাট করে।

তিনি আরো জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর উপজেলা শিক্ষা অফিস তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিবেন তা পরবর্তীতে জানানো হবে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক মনগড়া ভাবে বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা লুটপাট করেছে। তদন্তে তার বিলের সাথে কাজ দেখাতে পারিনি।