আলমডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক লো-ভোল্টেজ, স্থাপন হলো ১৪ বছরে পুরাতন ট্রান্সফরমার

এক সপ্তাহের বৈদ্যুতিক লো-ভোল্টেজের দুর্ভোগ শেষে স্থাপিত হলো ১৪ বছরের পুরাতন ট্রান্সফরমার। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে মাদারিপুর সাবষ্টেশন থেকে ব্যবহৃত রিকন্ডিশন সাবষ্টেশন আলমডাঙ্গায় এসে পৌঁছায়।

পিডিবির এ বৈদ্যুতিক সাবষ্টেশনটি স্থাপন করা হলে আলমডাঙ্গা ওজোপেডিকোর আওতাধীন গ্রাহকেরা লো-ভোল্টেজ সহ ঘন ঘন লোডশেডিং এর ভোগান্তি থেকে রেহায় পাবে বলে জানান বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা।

আলমডাঙ্গা ওজোপেডিকো সূত্র থেকে জানাযায়, গত ২০ শে দুপুর ২ টার দিকে বৃষ্টিপাতের সাথে হঠাৎ বজ্রপাতের কবলে পড়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সংরক্ষণ সাবষ্টেশনটি। বজ্রপাতের কারণে সাবষ্টেশনের ট্রেন্সফরমার লিকেজ হয়ে যায়। গত ৩/৪ দিন যাবৎ বিভিন্ন জেলার দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা সংস্কারের চেষ্টা করা হলে তা সেরে তুলতে সক্ষম হয়নি। এই ট্রান্সফরমারটি ১০ এমভি বিদ্যুৎ ধারণ ক্ষমতা রেয়েছে। এটির মাধ্যমে তিনটি ফিডারে ভাগ করে শহরে বিদ্যুৎ সেবা বিতরণ করা হয়। বর্তমানে আলমডাঙ্গায় বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য ১০ এমভির ট্রান্সফরমারের ৪ এমভি বিতরণ করলেই বৈদ্যুতিক সঠিক সেবা পায় গ্রাহকেরা।

৩৩ হাজার ভোল্টের ট্রান্সফরমার লিকেজ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সাবষ্টেশনের মাধ্যমে ১১ হাজার ভোল্টেজ দ্বারা প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহকের বৈদ্যুতিক সুবিধা প্রদান করে। এতে দেখা দেয় ব্যাপক লো-ভোল্টেজ।

নিয়মিত স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুক ও মাইকিং এর মাধ্যমে লো-ভোল্টেজ এর বিষয়ে অবগত করেন ওজোপেডিকোর কর্মকর্তারা। গত বৃহস্পতিবার মাদারিপুর সাবষ্টেশন থেকে ব্যবহৃত রিকন্ডিশন ট্রান্সফরমার নিয়ে রওয়া হয় আলমডাঙ্গার উদ্দেশ্যে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ট্রাকযোগে আলমডাঙ্গায় পৌছাই।

উল্লেখ্য, গত ২০০৭ সালে নির্মিত এ ট্রান্সফরমারটি মাদারিপুর সাবষ্টেশনে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করেছে। ওই সাবষ্টেশনটি ১০ এমভির স্থানে ২০ এমভিতে রুপান্তরিত হওয়ায় এ ট্রান্সফরমাটি বাতিল করা হয়। পরে, পূণরায় সংস্কার করে রাখা হয়। দীর্ঘ ১৪ বছর ব্যবহৃত ট্রান্সফরমারটি আলমডাঙ্গা বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য কতটা সুবিধা এনে দিবে এটাই দেখার বিষয়।

ট্রান্সফরমারটি পূণরায় আলমডাঙ্গায় স্থাপন করা সময় পরিদর্শন করে আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ কয়েকদিনের ভাপসা গরমের পাশাপাশি লো-ভোল্টেজের কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। গত রবিবার বজ্রপাতের কারণে ট্রান্সফরমারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি স্থাপন করা হলে অন্তত চলমান গরম থেকে রেহায় পাওয়া যাবে।