আলমডাঙ্গায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্পে অনুদান প্রদান

আলমডাঙ্গায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায়  ভিক্ষুকদের গবাদি পশু ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ থেকে প্রাপ্ত এ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
এ সময় ৪জন ভিক্ষুককে ৪টি গরু,১ জনকে পাখি ভ্যান,২ জনকে ৩ হাজার ও ২২ জন কে ২ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভপাতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, “বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। তিনি একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করছেন।” যাদের বাড়ি নেই তাদের বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন এবং যাদের জমি ও বাড়ি কিছুই নেই। তাদেরকে জমি লিখে দিয়ে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। ভিক্ষুক মুক্ত দেশ গড়তে সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন। আপনাদের নগদ টাকা, গরু, পাখিভ্যান দেওয়া হচ্ছে। প্রধান মন্ত্রীর দেওয়া গরু যত্ন সহকারে লালন পালন করবেন।  দেখবেন আর ভিক্ষাবৃত্তি করা লাগবে না।
উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সিদ্দীকা সোহেলী রশীদ, সহকারি পরিচালক আবু তালেব, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আখি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, সহসভাপতি রিপন হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদব মাসুদ রানা তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, আশিকুজ্জামান অল্টু, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হোসাইন।
কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজা উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, ফিল্ড সুপার ভাইজার নাজমুল হাসান পলাশ, আলমডাঙ্গা সমাজ সেবা অফিস উচ্চমান সহকারি মনিরুজ্জামান, ইউনিয়ন সমাজকর্মি হাফিজুর রহমান, খোদা বকস, শহিদুল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, কারিগরি প্রশিক্ষক আব্দুল কাদের, শামিম আলী, কামাল হোসেন প্রমুখ।  এছাড়াও পরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ২৪ জনকে আর্থিক অনুদানের টাকা দেওয়া হয়।