আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এমপি ছেলুন কে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এমপি ছেলুন কে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার কে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এমপি।

তিনি বলেন আপনারা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে আছেন, প্রত্যেক দপ্তরেই সমস্যা আছে, সমস্যা চিহ্নিত করে স্ব স্ব দপ্তরে প্রেরন করেন এবং ঐ কপি আমাকে দেবেন, কারন তদবির ছাড়া কোন কাজই ঠিকমত হয় না। সমস্যা আছে সমাধানও আছে, তিনি পৌর সভা সম্পর্কে বলেন দীর্ঘবছর ধরে পৌর ভবন নির্মানের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্ধ এসেছিল, জমি অধিগ্রহন হয়েছে কিন্ত বিল্ডিং হয়নি, মীর মহি থেকে গনুমিয়া কেউ পৌর ভবন নির্মান করেন নি। সেই ভবন নির্মানের টাকা কি হয়েছে সেটাও জানা নেই। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে বলেন আপনারা বলছেন দুই সিফট শিক্ষা কার্যক্রম চালাবেন, কিন্ত আমি জানি আপনারা সঠিক ভাবে এক সিফট চালাতে পারবেন না, কারন কোন স্কুলে ৮/৯ জন কোন স্কুলে মাত্র ৩ জন শিক্ষক দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন, আমার কাছে খবর আছে শিক্ষকরা কেউ কেউ বাড়ীর কাছে স্কুল হওয়ার কারনে ক্ষেত খামার পরিচর্চা করে এসে স্কুল করেন,আবার মেয়ে শিক্ষকরা বসে বসে সোয়েটার বোনে।আপনারা কিছু মনে নেবেন না কারন দেশটা আমাদের সকলের, এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে আপনাদের সহায়তা লাগবে।

সমাজ সেবা বিভাগ সম্পর্কে বলেন আপনারা বলছে দামুড়হুদার চাইতে আলমডাঙ্গা ভাতা কম পান, কারন হিসেবে এমপি ছেলুন বলেন তৎকালিন এমপি মোজাম্মেল হক জীবন নগর ও দামুড় হুদা দুই উপজেলার শতভাগ লোক গরীব দেখিয়েছে, যে কারনে আলমডাঙ্গায় লোক সংখ্যা বেশি হলেও তাদের থেকে ভাতা কম পাচ্ছি আমরা, তবে আপনারা উপরে লেখেন, আমি তদবির করে দেখব। এভাবে আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রত্যেক অফিস প্রধানের সাথে মতবিনিময় করেন।

তিনি আরও বলেন আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি,আপনারা নিজ নিজ অফিসের মাধ্যমে সমস্যা তুলে ধরেন, আমি কাজ করতে ভয় পাইনা, আমাকে দিয়ে করিয়ে নিতে হবে। কথা দিচ্ছি আপনাদের সাথে নিয়ে যে সমস্ত অসাপ্ত কাজ আছে সেগুলি শেষ করব।

উপজেলা পরিষদের ভবন নির্মানের বিষয়ে তিনি একই কথা বলেন আপনারা টাকার বরাদ্ধ চেয়ে দরখাস্ত করে আমাকে কপি দেবেন আমি তদবির করে বের করে আনব। তবে সকলে সুষ্ট ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে কেন ডায়গোনেস্টিক সেন্টার হল তার জবাব চান, তখন সাবেক কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুস বলেন তৎকালিন কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দের ও তৎকালিন ইউএনও করে গেছেন।এমপি তাদের নোটিশ করতে বলেন,যেন অচিরে ভবনটি মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা এসে যেন কষ্ট না পায়।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীন, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহিল কাফি, হারদী স্বাস্থ কমপ্লেকরসের মেডিকেল অফিসার সাঃ নাজনীন সুলতানা কনা, পৌর সভার প্যানেল মেয়র খনাদকার মজিবুল হক। উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনেস্ট্রক্টর জামাল উদ্দিনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, জনস্বাস্থ প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, প্রেসক্লাবের সাধারন সমরপাদক হামিদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা আজিজুল হাকিম প্রমুখ। এর আগে তিনি উপজেলা এসে পৌছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

মতবিনিময় শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমপিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এবং উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এমপি ছেলুনকে কৃষি পন্য মাশরুম, রঙিন ফুলকপিসহ কয়েক রকমের কৃষি পন্য উপহার দেওয়া হয়।