আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগ মানুষের অন্তরে জায়গা পেতে চায়-সোনাহার

রাজনীতিতে অনেক মতভেদ থাকে, অনেক গ্রুপ থাকে, অনেক সন্ত্রাস থাকে, দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে রাজনৈতিক কর্মীদের মাঝে অনেক হানহানিও থাকে, আবার স্বার্থের জালে পড়ে অনেক খুনোখুনিও থাকে। কিন্ত এসব কোন কিছুই জনগণের কল্যাণের জন্য না। রাজনৈতিক চরম নেতিবাচক এসব দিকগুলোকে পাশ কাটিয়ে জনগণের জন্য কল্যাণমুখী রাজনীতি করতে চায় আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ।

জেলা যুবলীগ থেকে সদ্য অনুমোদন পাওয়া সংগঠনটি এরই মধ্যে আলমডাঙ্গার রাজনৈতিক সচেতন মানুষের মাঝে সেই পরিচ্ছন্ন ছাপ ফেলতে সক্ষমও হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হয়ে এই সংগঠনের পিঠে সওয়ার হয়েছেন আলমডাঙ্গার অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন মন্ডল সোনাহার। যুগ্ম-আহবায়ক হয়েছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ লাল ও একে এম পারভেজ রাজু।

এছাড়া ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলার আহবায়ক কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে পোড় খাওয়া সব আওয়ামী লীগ পরিবার থেকে উঠে আসা একেকটি উদীয়মান যুবককে। এরা সবাই জোটবদ্ধ সন্ত্রাসকে ‘না’ বলে- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নির্দেশাবলী অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছেন।

উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠনের পর থেকেই অত্যন্ত ক্লিন ইমেজের সোনাহার মন্ডল তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে জাতীয় সব দিবসসহ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও অনেক মানব কল্যাণমুখী কর্মসূচি পালন করছেন।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রারম্ভ থেকে তাদের কর্মকাণ্ড। করোনার প্রথম দিকে চাষীরা যখন কামলার অভাবে মাঠের ধান কাটতে পারছিলেন না ঠিক তখনই আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের কর্মীরা কৃষকের মাঠের ধান কেটে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। লকডাউনে সবচেয়ে মানবতার পরিচয় দেয় এই সংগঠনটি।

আলমডাঙ্গা পৌরসভাসহ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের কর্মহীন হয়ে পড়া অন্তত ১০ হাজার পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একইভাবে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচাতে হাজার হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করেন মাস্ক। এই কার্যক্রম চলছে এখনও।

জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, সোনাহারকে আহবায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিকে কেন্দ্রেও পাঠানো হয়েছে। করোনার কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত থাকায় উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন করা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, জেলা যে যুবলীগের কমিটিকে অনুমোদন দিয়েছে সেটাই যুবলীগের আহবায়ক কমিটি। এখন কেউ যদি যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে ফায়দা নিতে চাই তা অবৈধ। তিনি এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মন্ডল সোনাহার বলেন, আমরা রাজনীতিতে সন্ত্রাস চাই না। সন্ত্রাসের বদনাম ঘোচাতে চাই। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। উপজেলা যুবলীগ মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিতে চায়।