
আলমডাঙ্গা বন কর্মকর্তার উদাসীনতা অন্তিম পর্যায়ে।পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও কর্তব্যের গাফিলতি। নওলামারী গ্রামে তদন্তের স্বার্থে একনজর দেখার সময় নেই। এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।সরেজমিনে সাংবাদিকরা গেলে তাদের ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের নওলামারি গ্রামে জিকে খালের সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন এক প্রবাস ফেরত ব্যক্তি ও স্থানীয় দুই বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার দিনভর খালের ওপর থাকা মূল্যবান মেহগনি, বাবলা ও সেগুনগাছ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্বানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হলেন নওলামারি গ্রামের আব্দুল মল্লিকের ছেলে হাজি মতিয়ার, দারুল বিশ্বাসের ছেলে প্রবাস ফেরত লালন এবং বিশারত বিশ্বাসের ছেলে ফরিদুল মাস্টার।
স্থানীয়রা জানান, কাটা গাছের একটি অংশ বাড়ির আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং কিছু গাছ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। হাজি মতিয়ার গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গাছের ছায়ার কারণে জমিতে চাষের শস্যের ফলন কমে যাচ্ছিল। তাই গাছ কেটে বিক্রি করেছি।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য ভিন্ন। তাঁরা জানান, কয়েক মাস আগে বিদেশ থেকে ফিরে লালন অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে জিকে খালের সরকারি গাছ কেটে ফেলেন। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক ফরিদুল মাস্টার। তাঁরা দুজনই প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের কর্মকর্তা এ কে এস আতাএলাহী বলেন, বিষয়টি আলমডাঙ্গা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


