
আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়ায় পল্লীবিদ্যুতের কেবি চুরিতে তোলপাড়। কৃষক থেকে সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। ভাংবাড়ীয়ার নিমতলা ও খামার মাঠে গভীর রাতে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তচক্রের দুঃসাহসিক হানা। সব মিলিয়ে কৃষকরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন।
আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের নিমতলা ও খামার মাঠ এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের কেবি চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত গভীর রাতে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটায়। এতে পল্লীবিদ্যুতের মোট ৪টি কেবি (কন্ট্রোল বক্স) চুরি হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাংবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজু আহম্মেদের মটরে স্থাপিত ১টি কেবি এবং একই গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুজন আলী মেম্বারের খামার মাঠে অবস্থিত বোরিংয়ের ৩টি কেবি খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রাতের আঁধার ও নির্জন পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে চোরচক্র নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
চুরির ফলে সংশ্লিষ্ট মটর ও বোরিং সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে পড়েছে। এতে সেচ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মাঠে থাকা ফসল ক্ষতির ঝুঁকিতে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে বোরিংনির্ভর কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ায় সব মিলিয়ে কৃষকরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এলাকাবাসীরা জানান, ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নে এর আগেও একাধিকবার পল্লী বিদ্যুতের সরঞ্জাম চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুর্বৃত্তচক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার, রাত্রীকালীন টহল জোরদার এবং বিদ্যুৎ স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মহল।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ চোরচক্র সনাক্তে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দ্রুত চুরি হওয়া কেবি উদ্ধারের পাশাপাশি জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


