আলোকবর্তিকা ড. মোখলেছুর রহমান

সমাজের অবহেলিত মানুষের কাছে একটি আলোকবর্তিকা ড. মোখলেছুর রহমান। একজন মানবতাবাদী, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও সমাজ সেবক ড. মোখলেছুর রহমান এলাকার প্রান্তিক মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ও দারিদ্র বিমোচনে রাখছেন অসামান্য অবদান।

জন্মেছিলেন গাংনী উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। মায়াময় ছাঁয়া ঢাকা করমদি গ্রামে। প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মেও এখন তিনি বিশ্ববরেণ্য হয়ে উঠেছেন। শুধূ স্বাস্থ্য চিকিৎসা, শিক্ষা নয়, এলাকার উন্নয়নও রয়েছে তার কৃতিত্ব।

বর্তমানে তিনি জাপান ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক্সের প্রফেসর এবং বিভাগীয় প্রধান হিসাবে জাপানে কর্মরত রয়েছেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ, সন্ধানী মেডিকেল স্কুল, সন্ধানী নার্সিং ইন্সটিটিউট, সন্ধানী সংস্থার বৃত্তি ও সেলাই কার্যক্রম, সন্ধানী হাসপাতালসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। শুধু দেশেই নয়, জাপানেও তিনি তৈরী করেছেন

বাংলাদেশ টো থে স্নাগো খাই নামের প্রতিষ্ঠান।

১৯৫৫ সালে ১ জুলাই করমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক এর পর্ব শেষ করে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসাবে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালে জাপান সরকারের মনবুশো স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে চলে যান। কিউশু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি ও পিএইচডি অর্জন করেন। পরে তিনি জাপান ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক্স এ প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২১ সালে অবসর গ্রহণ করার পর কোদো ইন্টার্নেশনাল কলেজ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। এর আগে ড. মোখলেছুর রহমান ১৯৯৮ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন কাজ করেছেন। ড. মখলেছুর রহমান মূলত মানবহিতৈশী সমাজভাবুক ও স্বপ্নবান শিক্ষা চিন্তক।

ছবি ও তথ্য জুলফিকার আলী কানন