‘আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপের মালিককে যেন ভালো রাখে’

৯০ বছরের হেবু কাজী। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এ মানুষটি বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল উপহার নিতে এসেছিলেন সদর উপজেলার খন্দকারপাড়া থেকে। এর আগে কখনো তিনি কম্বল পাননি। এই প্রথম কম্বল পেয়ে তিনি খুশিতে আপ্লুত হয়ে পড়েন। কম্বল পেয়ে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপের মালিককে যেন ভালো রাখো।’

শহরের ঘোষপাড়ার খোদেজা খাতুন বলেন, ‘বহু মানুষ কম্বল পেয়েছে। আমরা কুনুদিন কম্বল পাইনি। বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে খুবি খুশি হয়িছি।’

বৃহস্পতিবার সকালে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে কম্বল বিতরণ করা হয়।

মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন কম্বল বিতরণের উদ্বোধন করেন। এ সময় পৌর মেয়র বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এই মহৎ কর্মের মাধ্যমে মেহেরপুরসহ সারাদেশের শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক মূল্যেবোধের কাজ করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের ন্যায় দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এধরণের কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, বসন্ধুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান স্যারের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আমরা মেহেরপুরসহ সারাদেশে দেড় লাখ কম্বল বিতরণ করছি। যাতে শীতার্ত মানুষগুলোর কষ্ঠ একটু হলেও লাঘব হয়।

কালের কণ্ঠ’র মেহেরপুর প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ মানবিক কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এ কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।

জেলার সদর উপজেলায় ৪০০ এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৩০০ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। মুজিবনগর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে শীতার্তদের মাঝে কম্বল তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার।

এ সময় অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি মাহবুবুল হক পোলেন, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, শুভসংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আল ইকরাম সোহাগ উপস্থিত ছিলেন। পরে গাংনী উপজেলায় ৩০০ কম্বল বিতরণের মধ্যে দিয়ে জেলায় এক হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়।