ইজিবাইক ছিনতাই করতেই চালককে হত্যা, তিনজন গ্রেফতার

ইজিবাইক ছিনতাই করতেই হত্যা করা হয় মেহেরপুরের শোলমারী গ্রামের আব্দুর রহমানকে। আর ঘটনাটা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা ও মিশন শেষে নিরাপদে চলে যেতে পারায় আবাসিক হোটেলটিকে বেছে নেই ছিনতাইকারীরা।

ইজিবাইক চালক আব্দুর রহমান লাশ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যেই দুই ঘাতককে গ্রেফতার ও ইজিবাইক উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সদর থানায় সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফ করে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাার দুদরাজপুর গ্রামের দিনবন্ধু বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মজদেত আলীর ছেলে রাজু শেখ ও মেহেরপুর শহরের আবাসিক হোটেল এজাজ প্লাজার মালিক ঝন্টু মিয়া।

এসময় মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি সাইফুল আলম, মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজমল হোসেন আরও বলেন, গত শুক্রবার ইজিবাইকসহ আব্দুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের স্বরণাপন্ন হয়েছিল। পুলিশের কয়েকটি টিম তখন থেকেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার মোটিভ উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছিল। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাইবারক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও সদর থানা পুলিশ এক সাথে এই বিষয়ে কাজ করছিল।

এএসপি আজমল হোসেন বলেন, ইজিবাইক, পাখি ভ্যান বা অন্যান্য যানবাহন ছিনতাইয়ের এটি একটি বিরাট চক্র। বিভাগীয় এই চক্রের সাথে এলাকার কিছু ছিনতাইকারি জড়িত। মেহেরপুর সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে নাহিদ হোসেন এই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাকে দিয়েই মোবাইল ফোনে ডেকে নেওয়া হয়েছে আব্দুর রহমানকে। চুয়াডাঙ্গাতে ভাড়ায় যাওয়ার নাম করে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় নাহিদ।

এএসপি আজমল হোসেন বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করেই এই হত্যাকান্ডের মোটিভ উদঘাটন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বাকী আসামিদেরও অল্পদিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত রবিবার বিকালে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকায় এজাজ প্লাজা নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে আব্দুর রহমান (৫২) গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার (৯ জুন) সে বাড়ি থেকে ইজিবাইকসহ বের হন। তার পর আর ফিরে আসেনি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। তাকে পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি অব্যাহত রেখেছিল।