ইবি ছাত্রী উর্মি হত্যা মামলায় স্বামী ও শশুরের জামিন না মঞ্জুর

ইবি ছাত্রী নিশাত তাসনীম উর্মি হত্যা মামলায় স্বামী আশিকুজ্জামান প্রিন্স ও তার শশুর হাসেম শাহকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।

গতকাল রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশীয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তারিক হাসানের আদালতে জামিনের আবেদন করেন।

বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। নিহত নিশাত তাসনীম উর্মী (২৪)ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। উর্মীর মাদকাসক্ত স্বামী আশিকুজ্জামান প্রিন্স বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হেরোইন সেবন করে তার বাড়িতে যায়। এসময় উর্মী তার স্বামীকে মাদক ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালায়। গভীর রাতে উর্মীকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃতু ঘোষণা করার পর পুলিশ ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।সকালে উর্মীর সুরোত হাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এসময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশিকুজ্জামান প্রিন্স ও তার পিতা হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী হাসেম শাহকে গ্রেফতার করে থানায় নেন। পরে উর্মীর পিতার দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করে। উর্মীর বাবা গোলাম কিবরিয়ার এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১(ক)/৩ ধারায় যৌতুকের জন্য মারপিট কেরে হত্যা ও হত্যার সহায়তার অভিযোগ এনে উর্মির স্বামী আসিকুজ্জামান প্রিন্সের ও তার পিতা হাসেম শাহ ও শাশুড়ির নামে একটি মামলা দায়ের করেন। যার জিআর মামলা নং ২১২/২২।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেধাবী ছাত্রী হত্যার বিচার চেয়ে তার সহপাঠিরা ইসলামিক বিশ্বাবিদ্যালয় ক্যাম্পাস, গাংনী উপজেলা শহর ও মেহেরপুর জেলা শহরে মানববন্ধন করেছে। বিচার দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ।