ইসরাইল-ভারত যৌথভাবে তৈরি করেছে করোনার ক্যাপসুল!

টিকার পর এবার করোনার ক্যাপসুল বাজারে আসছে। ইসরাইল-ভারত যৌথভাবে ‘ওরাভ্যাক্স কোভিড-১৯’ নামে করোনার প্রতিষেধক এ ক্যাপসুল তৈরি করেছে।

ভারতের ‘প্রেমাস বায়োটেক’ ও ইসরাইলের ‘ওরামেড ফার্মাসিউটিক্যালস’ যৌথভাবে মুখে খাওয়ার ক্যাপসুলের মতো করোনা প্রতিষেধক তৈরি করেছে। খবর দ্য হিন্দুর।

গত ১৯ মার্চ দুই কোম্পানির পক্ষ থেকে এই ‘ওরাভ্যাক্স কোভিড-১৯’ টিকার কথা ঘোষণা করা হয়। দাবি করা হয়, করোনা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে এই টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। অর্থাৎ অন্য টিকার মতো একাধিক ডোজ নিতে হবে না।

তবে প্রেমাস জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত শুধু প্রাণী দেহেই পরীক্ষা করা হয়েছে এই টিকাটি। প্রথম ডোজেই রোগপ্রতিরোধে কার্যকারিতার প্রমাণ দিয়েছে ওরাভ্যাক্স। প্রথম ডোজ নেওয়ার পরই দেখা গেছে, শ্বাসনালি এবং খাদ্যনালিকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে এই টিকা।

প্রেমাসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এই টিকা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়িয়েছে, তেমনই উন্নত করেছে রোগ প্রতিরোধক প্রতিক্রিয়া বা ইমিউন রেসপন্সও। শরীরের অ্যান্টিবডিগুলোকে প্রশমন করে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে এই টিকা। তাতেই বেড়েছে এর কার্যকারিতা। সংস্থাটি জানিয়েছে, এ বছর সেপ্টেম্বর থেকে মানবদেহে এই টিকার প্রভাব পরীক্ষা করা হবে।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস যে শরীরের প্রোটিনে ভর করেই ছড়ায় তা এর আগে বহুবার বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওরাভ্যাক্স টিকাটিও প্রোটিননির্ভর। আবার এতে ভাইরাসের কিছু বৈশিষ্ট্যও আছে, যা সার্স কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা দেবে বলে দাবি করেছে প্রেমাস।

এদিকে এরই মধ্যে ভারতের নিজস্ব টিকা কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকও ন্যাজাল ভ্যাকসিন বা নাক দিয়ে নেওয়ার টিকা তৈরি করেছে। উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি ওই টিকার এরই মধ্যে মানবদেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।