উদ্ধার হয়েছে গাংনীর মাথাভাঙ্গা নদীতে নিখোঁজ হওয়া রানার মৃতদেহ

নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া রানা (১৬)’র মৃতদেহ উদ্ধার করেছে খুলনা হতে আগত ডুবুরি দল। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে রানার ভেসে ওঠা মৃতদেহ উদ্ধার করেন তারা।
রানা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সরিষাডুলি গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে।

সরিষাডুলি গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হাফিজুর রহমান (লালু ডাক্তার) জানান, গতকাল রোববার (১৯/০৯/২০২১) দুপুরে রানা ও জিহাদ দুই বন্ধু গ্রামের পাশ দিয়ে বহমান মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের একপর্যায়ে রানা নদীর স্রোতে হঠাৎ তলিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় লোকজন ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এবং খুলনা থেকে একটি চৌকস ডুবুরি টিম এসে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেন। রোববার
সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও সন্ধান পাইনি নিখোঁজ রানার। ফলে সোমবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সোমবার (২০/০৯/২০২১) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নদী থেকে রানার ভেসে ওঠা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খুলনা হতে আগত ডুবুরি দলের টিম লিডার শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তাদের টিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রানার ভাসমান মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সরিষাডুলি গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন এর নিকট রানার মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।