এবার করোনার জিন রহস্য নির্ণয় করল এনআইবি

করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ জীবন রহস্য নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি)।

বৈজ্ঞানিক ভাষায় যাকে জিনোম সিকোয়েন্স নির্ণয় বলা হয়। স্যাঙ্গার পদ্ধতিতে করোনার জিনোম সিকোয়েন্স নির্ণয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ।

দেশের তৃতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই জিনোম সিকোয়েন্স নির্ণয় করল প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার রাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে করোনার জীবন রহস্য নির্ণইয়ে এনআইবির সাফল্যের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এনআইবির উন্মোচিত জিনোম সিকোয়েন্স গোল্ডেন স্ট্যান্ডার্ড ম্যাথড স্যাঙ্গার ডাইডিওক্সি পদ্ধতিতে করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে নির্ণীত জিনোম সিকোয়েন্স প্রায় শতভাগ নির্ভুল।

১টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আরও ৭টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স নির্ণয়ের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

ড. মো. সলিমুল্লাহ তথ্য দেন, এনআইবির সিকোয়েন্স করা জিনোম যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও ইতালির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ সিকোয়েন্সে কিছু পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে এবং অধিকতর এনালাইসিসের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে।

কম খরচে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর নির্ভর কিট উদ্ভাবনে এনআইবির গবেষকদল কাজ করছেন বলে জানান ড. মো. সলিমুল্লাহ।

তিনি বলে, এ পর্যায়ে পরীক্ষাকৃত ৭টি নমুনায় আমাদের উদ্ভাবিত কিটের শতভাগ সাফল্য পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ১২ মে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ) দেশে প্রথমবারের মতো করোনার জিনোম সিকোয়েন্স নির্ণয় করে। এরপর ১৭ মে আর্ন্তজাতিক জিন ডাটা ব্যাংক- জিআইএসএআইডি করোনার পাঁচটি জিনোম সিকোয়েন্স জমা দেয় বাংলাদেশের ডিএনএ সল্যুশন।

করোনা মহামারীর কার্যকর মোকাবেলার অংশ হিসেবে দেশে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স নির্ণয় অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র-যুগান্তর