এ যেন মরণ ফাঁদ!

এম এফ রুপক
মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের দারিয়াপুর জামে মসজিদের সামনে মরণ ফাঁদ হয়ে দাড়িছে শতবর্ষি কড়ই গাছ। প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে প্রায় ১০ ফিট পর্যন্ত রাস্তার উপর দাড়িয়ে আছে গাছটি। ইতিমধ্যে ঐ স্থানে বেশ কিছু সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও গাছটি অপসারনের কোন ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও মুবিজনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজের উত্তর পাশে রয়েছে আরও একটি কড়ই গাছ। এটিও চলচলে ব্যাপক বাধার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। গাছ গুলোতে শুকনো ডাল রয়েছে বেশ। যে কোন সময় ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

দারিয়াপুর ইউনিয়ন তথ্য অফিসের দায়িত্বে থাকা আশরাফুল ইসলাম জানান, রাস্তার উপর গাছ গুলো অত্যন্ত বিপদজনক। গাছের কারনে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে। ছোট খাট দুর্ঘটনা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটেছে।

একই গ্রামের শিক্ষক তৌহিদুজ্জামান বলেন, মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের জন্য গাছ গুলো অবশ্যই অপসারণ করা উচিত। সরকার কোটি টাকা খরচ করে প্রসস্থ রাস্তা নির্মান করেছে। অথচ সামান্য কারনে চলাচলে বাঁধা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে বলেন, রাস্তার উপর গাছ অপসারণের জন্য আমাদের একটি প্রকল্প ছিল। এই প্রকল্পে এটি এড়িয়ে যেতে পারে। তারপরও আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার বলেন, গাছটির প্রকৃত মালিক জেলা পরিষদ। আমরা জনগনের স্বাভাবিক চলাচলের জন্য জেলা পরিষদকে লিখিতভাবে অবহিত করবো। গাছ অপসারনের ক্ষেত্রে জেলা পরিষদকেই এগিয়ে আসতে হবে।

সামাজিক বন বিভাগ মেহেরপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর উল্লাহ জানান, গাছের মালিক যে প্রতিষ্ঠান। তারা সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে গাছ অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাছ অপসারনের বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বলেন, জেলা পরিষদ চাইলেও গাছ গুলো অপসারণ করতে পারে না। এটির জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। আমাদেরকে লিখিতভাবে জানালে, আমরা জেলা প্রশাসকের উন্নয়নসভায় বিষয়টি উপস্থাপন করবো।