ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

মেহেরপুরে নানা আয়োজনের ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের আসার আগেই অনুষ্ঠান শুরু ও জনসভায় লোকসমাগম কম থাকায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

আজ বুধবার সকালে সূর্যোদয়েরর সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি হয়।

সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর আম্রকাননের শেখ হাসিনা মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এমপি, আফজাল হোসেন, সদস্য গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, ফরহাদ হোসেন এমপি, মুন্নুজান সুফিয়ান, এম এ খালেক, এস এম নাজমুল হক সাগর এমপি।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ অনুষ্ঠানের পর থেকেই বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি রুপলাভ করে।

সভাপতির বক্তব্যে আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাসিম বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রশ্নে যেখানেই বাধা আসবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে। এই হোক মুজিবনগর দিবসের শপথ।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণন করা হয়েছে। যাতে করে মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পূর্বের ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস জানতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। আমরা অচিরেই এই স্মৃতিকেন্দ্র গড়ে তুলবো।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেন, কোন মেজরের হুইসেলে আমাদের স্বাধীনতা আসেনি। জিয়া ক্ষমতায় আসার পর কুখ্যাত রাজাকারদের রাজনীতি করার অধিকার নিম্ছিত করে। দালালি াআইন বাতিল করে। পাকিস্তানি এজেন্টদের বিতারিত করে এদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলারদশ গবড় তুলবো ইনশাআল্লাহ।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান বলেন, আমার ও সিমিনের এই দিনটিতে অন্যরকম অনুভুতির সৃষ্টি হয়। আমাদের বাবারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অত্যন্ত সাহসিকতার সহিত মুজিবনগরে প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন।

কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ স্থলে পৌছানোর আগেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে অনুষ্ঠান শুরু করেন। পরে গার্ড অব অনার প্রদান ও জাতীয় পতাকা উত্তোলণ শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে পৌছালে একটি বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। জরনসভা শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সমন্বয় না করার কারণে এমনটি হয়েছে। এ ধরণের একটি অনুষ্ঠানের সমন্বয় না করা অনুষ্ঠান শুরু করা হয়েছে, যেটা করা ঠিক হয়নি।

এদিকে, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানের জনসভায় জনশুণ্য দেখা গেছে। যেখানে প্রতিবছর মুজিবনগর দিবস লোকারণ্য হলেও এবার তেমন লোকজন দেখা যায়নি। অধিকাংশ চেয়ার ফাঁকা ছিল।

তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, এবারের মুজিবনগর দিবসেই কেবল মানুষ দেখতি পাচ্ছি না। যা আছে সবই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে ঘেরা।