
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর পরই ঝিনাইদহে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নীসংযোগ চালিয়েছে।
আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর হোসেন শহীদ সোহরায়ার্দী সড়কের জেলা যুবলীগের আহবায়ক আশফাক মাহমুদ জনের ভাড়া দেওয়া প্রতিষ্ঠান বন্ড শোরুম ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ চালায়। এসময় শহরের পায়রা চত্বরে বেশ কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায় ও মালিককে মারধর করে বিক্ষুদ্ধরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্ড শোরুমের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা শহরের হামদহ এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কাান্তি দাসের বাড়ি, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিানে ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। এছাড়া কনক কান্তি দাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটায়।
কনক কান্তি দাসের ভাই গোপাল কৃষ্ণ দাস জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে বিক্ষুব্ধ শতাধিক লোকজন। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় তারা আসবাবপত্র বের করে বাড়ির সামনে অগ্নিসংযোগ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে গোপাল কৃষ্ণ দাস পেছনের দরজা দিয়ে বাড়ি থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর কিছুক্ষণ পরেই জেলা শহরের নতুন হাটখোলা সড়কের পাশে ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।