মেহেরপুরে বিএনপি দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে কমিটি গঠনের অভিযোগে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কমিটি গঠনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রবিবার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিএনপির ৩ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, শাহদুল করিম, ছানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করলে মঙ্গলবার বিকালে শুনানি শেষে মেহেরপুরের সিনিয়র সহকারী জজ–২ আদালতের বিচারক মো: মাসুদ রানা এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র না মেনে কমিটি নির্বাচন করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে ৯ জন বিবাদীকে ৫ কর্মদিবস সময় বেঁধে দেন।
কারণ দর্শানোর জন্য আদালত যে সকল বিবাদীকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তারা হলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে সভাপতি পদে বিজয়ী ঘোষিত মো: ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষিত মো: মমিনুল ইসলাম, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন–২০২৫ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো: আব্দুস সালাম, নির্বাচন কমিশনার মো: জুলফিকার আলী এবং অ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামান।
জানা গেছে, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে অবৈধভাবে কমিটি গঠনের অভিযোগে বাদীরা ৯ জনকে বিবাদী করে মেহেরপুর সিনিয়র সহকারী জজ–২ আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন।
মামলা নম্বর: ৭১/২৫।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকাল সাড়ে চারটার সময় মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী এই শুনানিতে অংশ নেন।
মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এএসএম সাইদুর রাজ্জাক এবং মামলাটিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট মো: মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৬ অনুচ্ছেদের “খ” ধারা লঙ্ঘন করে দলীয় কমিটি গঠনের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কাউন্সিলের বিধি-বিধান উপেক্ষা করে নিজেদের পছন্দের লোকদের নিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলকে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন কেন্দ্র বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আদালত বাদী পক্ষের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বিজ্ঞ আদালত এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান বলেন, আমরা আদালতের আদেশের কথা শুনেছি, তবে কাগজ পাইনি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে কারণ দর্শানো হবে।