করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৭০

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮৭০ জনে। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের।

এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রোববার আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৮০ হাজার জনে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৩ জন। খবর দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের।

এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করা মারাত্মক চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওপ্রধান টেড্রস আধানম।

করোনাভাইরাসের বর্তমান অবস্থা নিয়ে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা উচ্চ থেকে উচ্চতর সতর্কতা জারি করেছে। গত কয়েক দিনে দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ।

টেড্রস আধানম বলেন, গত কয়েক দিনে বাড়তে থাকা সংক্রমণের হার অবশ্যই চিন্তার বিষয়। আমাদের বিশেষজ্ঞরা সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রও বাড়িয়েছি আমরা।

জাতিসংঘের জরুরি স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান ড. মাইক রায়ান বলেন, যে কোনো দেশের সরকারের জন্য এটি একটি পরীক্ষামূলক সময়। কীভাবে তারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে।

এরই মধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৫৬ দেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।

বর্তমানে একদিনে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকেও পেছনে ফেলেছে দেশটি। সেখানে একদিনেই নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৩ জন। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।

এদিকে আইসল্যান্ড, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, বেলারুশে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো আক্রান্ত অবস্থায় এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, যিনি জাপানের প্রমোদতরীর যাত্রী ছিলেন।

জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মতো এক করোনাভাইরাস রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাওয়ার ফলে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন রাজধানী ওয়াশিংটনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. জেফরি। তবে এর আগে চীনের উহান শহরে যুক্তরাষ্ট্রের আরও এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল।

এ ছাড়া ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়ছে ইতালিতেও। সেখানে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১২৮ জনে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় অনলাইনে স্কুলের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

তবে এ মুহূর্তে সবচেয়ে নাজুক অবস্থার শিকার ইরানের বাসিন্দারা। সেখানে ভাইরাসটি দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়ছে।

সুত্র-যুগান্তর