করোনার ভয়কে জয় করতে কী করবেন

প্রতিদিনই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাশের সারি। আতঙ্কে ঘরবন্দি রয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। এ সময় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, শুধু সতর্ক থাকুন।

করোনার আগেও অনেকে ভাইরাস যেমন কলেরা ও গুটিবসন্ত মহামারী হিসেবে দেখা দিয়েছিল। এসব রোগ থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় লেগেছে। তাই করোনার ভয়কে জয় করুন এবং পরিবারের সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

আসুন জেনে নিই করোনার ভয়কে জয় করতে কী করবেন-

১. করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর গ্লাভস ব্যবহার না করলেও বারবার সাবান হাত ধুতে হবে।

২. এ ভাইরাস চোখ দিয়েও ছড়ায়। তাই চশমা ব্যবহার করলে তা সবসময় সঙ্গে রাখুন। আর যদি ব্যবহার না করে থাকেন, তা হলে ব্যবহার শুরু করুন। সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।

৩. কোনো কিছু স্পর্শ করলে অবশ্যই সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। কারণ হাত ধোয়া সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৪. বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে রাখতে পারেন পকেটে বহনযোগ্য অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার কিংবা জীবাণুনাশকের শিশি। সাবান পানি না পেলে এগুলো দিয়ে বাইরে হাত পরিষ্কার করতে পারেন।

৫. হাত ধুয়েছেন তবে বারবার চোখে–মুখে হাত দেবেন না।

৬. বাইরে যাওয়ার জন্য এমন জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন যা পানি দিয়ে ভিজিয়ে পরিষ্কার করা যায়। সাবান পানি দিয়ে কিংবা জীবাণুনাশক ছিটিয়ে এই জুতা বা স্যান্ডেল আবার পরিষ্কার করুন। জুতা বা স্যান্ডেল বাসার বাইরে রাখাই ভালো।

৭. এক-আধা কিলোমিটার যাওয়ার জন্য হাঁটুন। সামাজিক দূরত্বও ঠিক থাকল আবার সংক্রমণেরও ভয় কমবে।

৮. হাত ঘড়ি ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে বাইরে থেকে এসে এসব জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

এ ছাড়া চুড়ি, ব্রেসলেটসহ যে কোনো ধাতব অলঙ্কার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। যে কোনো ধাতুতে ৫ ঘণ্টার মতো ভাইরাস জীবিত থাকতে পারে।

৯. চুল ঢাকার জন্য ওড়না কিংবা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। টাকাপয়সা ব্যবহারের জন্য মোবাইল ওয়ালেট কিংবা কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

১০. অফিসে গিয়ে কাজে বসার আগে হাত-মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে মোবাইল ও মানিব্যাগও পরিষ্কার করুন।

১১. প্রতিদিন ব্যবহৃত জিনিস ল্যাপটপ, মাউস, চেয়ার, ডেস্ক, মেশিনপত্র ইত্যাদি সব প্রথমে পরিষ্কার করে নিন। এগুলোর জন্য অফিসের ব্যবস্থা থাকলে ভালো। নইলে নিজেই ব্যবস্থা করে নিন।

১২. কারও সঙ্গে কথা বলার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। পারলে সব ধরনের যোগাযোগ মেইল কিংবা ফোনে সেরে ফেলুন।

১৩ যত দূর হেঁটে ওঠা যায় সিঁড়ি ভেঙে তত দূর হেঁটেই উঠুন। লিফটের বোতাম টিপতে কনুই ব্যবহার করুন অথবা টিস্যু পেপার।

১৪. সুযোগ থাকলে অফিসের যানবাহন ব্যবহার করুন।

১৫. এ সময় লেবু-পানি, গ্রিন টি ও গরম চা পান করুন। মানসিক প্রশান্তি আনতে গান শুনন। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।