করোনায় আক্রান্ত শুনে পালালেন, ধরা পড়ে এখন আইসোলেশনে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন শুনে ঢাকায় আইসোলেশনে না থেকে পালিয়ে সুনামগঞ্জে বাড়িতে চলে যান এক যুবক। স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল বুধবার রাতে তাঁকে আইসোলেশনে নিয়ে যায়।

সুনামগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে তিনি নমুনা পরীক্ষা করেন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাঁকে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই নির্দেশ দেয় তাঁর প্রতিষ্ঠানও। কিন্তু তিনি তা না মেনে ১৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় নিজ বাড়িতে চলে যান।

বাইরে থেকে একজন এসেছেন শুনে পরের দিন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ওই যুবকের বাড়িতে যান। তখনো স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন জানতেন না যে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাই ১৪ দিন নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়ে তাঁরা চলে যান। কিন্তু গতকাল আইইডিসিআর থেকে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিনকে ওই ব্যক্তির নাম-ঠিকানা দিয়ে পুরো বিষয়টি জানানো হয়। সিভিল সার্জন জানান উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে যান। এরপর বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে বিশ্বম্ভরপুর থেকে সুনামগঞ্জ শহরে নেওয়া হয়। গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় তাঁকে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালের করোনো আইসোলেশন ওয়ার্ডে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, ওই যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য গোপন করেছেন।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিষ্ণু প্রসাদ চন্দ বলেন, ওই যুবক একেক সময় একেক কথা বলছিলেন। তিনি স্বীকার করতেই রাজি নন যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পরে তাঁর প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে তাঁর কথা বলিয়ে দিলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। ওই ব্যক্তি আবার যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। সূত্র-প্রথম আলো