করোনায় ক্রীড়াঙ্গনেও স্থবিরতা

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের থাবায় খেলার মাঠেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। এই স্থবিরতা যেন কোনভাবেই কাটছে না। মেহেরপুরের কয়েকটি খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের পদচারণা। কয়েকটি খেলার মাঠের মধ্যে মেহেরপুর সরকারি হাই স্কুল খেলার মাঠ অন্যতম।

অন্যান্য মাঠগুলো শুকনো পড়ে থাকলেও এই মাঠটিতে করোনার আতঙ্কের মাঝেও চলছে নিয়মিত খেলার অনুশীলন।

সরে জমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অনুশীলনে ব্যস্ত বিভিন্ন বয়সী ক্রিকেটার ফুটবলাররা। সেই সাথে আরও দেখা যায় কেউ কেউ ব্যস্ত ঘুড়ি উড়াতে।

এসময় ২০০৯ সালের হাই স্কুল পর্যায়ের বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন কিরণ বলেন, বর্তমানে মেহেরপুর সরকারি হাই স্কুল খেলার মাঠের পরিবেশ প্রাণবন্ত, সকলে খেলায় ব্যস্ত।

তিনি বলেন, সকল খেলোয়াররা মাঠে আসুক, খেলার মধ্যেই সময় টা পার করুক। খেলার মাঝে থাকলে শরীর ও মন দুটাই ভালো থাকে। খেলার মাধ্যমে মানুষের মানসিক বিকাশ ঘটে।

স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের সুরক্ষা নিজের কাছে, তাই সকলের উচিত স্বাস্থ্য বিধি মেনেই খেলার মাঠে আসার। খেলার মাধ্যেই মাঝে মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। সেই সাথে খেলা শেষে নিজেকে জীবানু নাশক দিয়ে জীবানু মুক্ত করেই বাসায় ফিরা।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ক্রিকেটার মাসুদ রানা বলেন, করোনা কালীন শারীরিক ফিটনেস ঠিক রাখতে, মনোবল বৃদ্ধি সহ অলস সময় পার করতেই সবাই খেলার মাঠে আসছেন। খেলার মাঠে আসাতে অনুশীলনীর সাথে সাথে সময় কাটানোও হয়ে যাচ্ছে। মাঠে আসলে খেলার মাঝে থাকলে সময় টাও খুব তাড়াতাড়ি পার হয়ে যায়। বাসায় বসে অলস সময় পার করার থেকে মাঠে এসে খেলার মাঝে সময় টা পার করতে সবাই নিয়মিত মাঠে আসছে।

তিনি আরও বলেন, মেহেরপুর সরকারি হাই স্কুল খেলার মাঠে আগের চেয়ে এখন বেশি খেলোয়ার দেখা যাচ্ছে, মাঝে এই মাঠে খেলাধুলা বন্ধের পথে চলে এসেছিল কিন্তু বর্তমানে সবাই খেলার মাঝে সময় পার করছে। এখানে নিয়মিত ৮-৯ টা টিম অনুশীলন করছে বলে তিনি জানান।

ফুটবল খেলোয়ার তানভির বলেন, করোনা কালীন বাসায় অবসর সময় পার হচ্ছে না তাই মাঠে এসেছি অনুশীলন করতে। অলস সময় পার করতেই মূলত মাঠে আসা।

অপর দিকে, মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠের চিত্র ভিন্ন, নেই কোন খেলোয়ার, মাঠে চরছে গরু, মাঠের ঘাস গুলোও অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। নেই কোন খেলাধুলা, অনুশীলন, পুরো মাঠ ফাঁকা। এ যেন এক প্রাণ হীন লেখার মাঠ, করোনার কারণে এমন বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজ আহম্মেদ।

তিনি বলেন, আগে এখানে নিয়মিত অনুশীলন হতো করোনায় এখন সব বন্ধ। তবে বিকেলে কিছু খেলোয়ার মাঝে মধ্যে দেখা যায়।

মেহেরপুরের অন্যান্য খেলার মাঠ গুলোতে অল্প পরিসরে অনুশীলন হলেও মেহেরপুর জেলার এক মাত্র সরকারি খেলার মাঠ মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়াম এ সকল খেলাধুলা সহ সমস্ত অনুশীলন বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠের মেইন ফটক সহ সকল প্রবেশদার বন্ধ রয়েছে।

অফিস সহকারী স্বপনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, করোনা কালীন সমস্ত খেলা ফেডারেশন থেকে বন্ধ আছে, সেই সাথে মাঠে অনুশীলন করাও কোন অনুমতি নেই। এ জন্যই প্রতিটা প্রবেশ দার বন্ধ রাখা হয়েছে।

মেপ্র/আরপি