কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন, রক্তদানে এক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান

কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন, রক্তদানে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান

আর্তমানবতার সেবাই কাজ করছে গাংনী উপজেলার কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন। মূমূর্ষ রোগীদের বিনামুল্যে রক্ত প্রদান, রক্তের গ্রুপ নির্নয় ও অসুস্থ রোগীদের কল্যানকর কাজ করে এখন সংগঠনটি মানুষের মুখে মুখে। প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

“গিফট লাইফ, গিভ ব্লাড” শ্লোগান নিয়ে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের একদল ইয়ূথ লিডারদের উদ্দোগে ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারী স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার প্রত্যয় নিয়ে ‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’ এর ৪৫০ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য সার্বক্ষণিক প্র¯তুত । সংগঠণটি এখন পর্যন্ত ২৫৭ জন মুমূর্ষ প্রাণ বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছে। ‘

‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’ এখন থেকে মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও ঢাকা জোনকে সহায়তা করার জন্য নিয়মিত রক্তদাতা সংগ্রহ, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপিং প্রোগ্রাম, সমাবেশ, কর্মশালার আয়োজন ও রক্তদাতাদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি নতুনদের রক্তদানে অনুপ্রাণিত করার কাজ করবে।

কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশনের সভাপতি, মোঃ নাছিম আহমেদ বলেন, ‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’ সেই দিনের স্বপ্ন দেখে যেদিন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তাদের রক্তের গ্রুপ জানতে পারবে এবং স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, ‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’ -এর স্বেচ্ছাসেবকরা মেহেরপুর জেলার গ্রাম গুলোতে রক্তদানের উপকারিতা ও রক্তের গুরুত্ব মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন ও ভিডিও প্রদর্শনী করে থাকে। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় সেখানে ২২০ জনের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ১৫০ জন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে।

প্রধান উদ্যোক্তা মোঃ নাসিম আহাম্মেদ বলেন আমি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের পরিচালনায় ৪ দিন ব্যাপী একটি ইয়ূথ লিডারসীপ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করি । এই ৪ দিনের প্রশিক্ষন আমার জীবনের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে বিশেষ করে প্রশিক্ষণের একটি আলোচনা সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাকে ব্যপক ভাবে ভাবিয়ে তোলে আমি সমাজের মানুষের জন্য কিছু করার জন্য উদগ্রীব হয়। আমার সহপাটিদের সাথে আলোচনা করতে থাকি এক পর্যয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয় যে ব্লাড নিয়ে কাজ করবো সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজকের এই কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন । আমি দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কাছে কৃতজ্ঞ যে এমন একটি প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়ার জন্য । আমার ইউনিয়নে আমার মত প্রায় শতাধিক ছেলে মেয়ের মানুষিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে।

‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন সর্ম্পকে কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা বলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের অনুপ্রেরনায় আমার ইউনিয়নের একদল ছেলেমেয়ে যে উদ্যোগটি নিয়েছে সেটি অত্যান্ত প্রসংসনিয় উদ্যোগ আমি এই মহৎ উদ্যোগের সার্বিক সফলতা কামনা করি। যে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমাকে জানালে আমি এই সংগঠণটিকে সহযোগিতা করবো। আমার ইউনিয়নের তরুন তরুনীদের মানুষিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমি ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ” এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ।

‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম পরিচালনা কমিটিতে রয়েছে সভাপতি, মোঃ নাছিম আহমেদ, সহ-সভাপতি মোঃ লিটন বাদশা, ও মোঃ মিঠন রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (সাজু), যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ তুহিন রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মফিজুল ইসলাম, মোঃ রায়হান হোসেন ও মোঃ চন্দন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ সোহেল আহাম্মেদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোছাঃ সোনিয়া খাতুন, প্রচার সম্পাদক মোঃ শিমুল হোসেন, উপ- প্রচার সম্পাদক মোঃ হৃদয়, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ রিয়া আহমেদ, উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ মোহনা আক্তার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসাইন, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাব্বির হোসেন, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ তামান্না আক্তার, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ তাসমিনা খাতুন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ ইভা খাতুন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ সাদিয়া ইসলাম।