কার্পাসডাঙ্গায় নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামে আনছার ট্রেডার্স ও আক্তার ট্রেডার্স নামের দুই সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত মূল্যর তোয়াক্কা না করে আরো বেশী মূল্যে ইউরিয়া ও রাসায়নিক সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ছাতিয়ান তলা গ্রামে আনছার ট্রেডার্সের মালিক সার ও কীটনাশক বিক্রেতা মিয়ারুল কোন প্রকারের লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে সরকারী মূল্যর কোন তোয়াক্কা না করে ইউরিয়া ও বিভিন্ন রাসায়নিক সারে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বেশী নিয়ে বিক্রি করছেন। অপরদিকে আক্তার ট্রেডার্সের মালিক আক্তারুলও লাইসেন্স ছাড়া হরহামেশাই ইউরিয়া ও বিভিন্ন রাসায়নিক সার বিক্রি করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ আনছার ট্রেডার্সের সত্তাধিকারী মিয়ারুল যেনো খুবই বেপরোয়া। সে কারো কোন কিছু তোয়াক্কা করেনা। ইচ্ছেমত গলা কাটা দামে চাষীদের ঠকিয়ে তাদের সাথে চরম প্রতারনা করে বেশী দামে সার বিক্রি করে মুনাফা লুটছে।

আর রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়ে দোতলা বাড়ি সহ অঢেল টাকার মালিক বনে গেছে। এ বিষয়ে মিয়ারুলের সাথে কথা বললে তিনি আমতা আমতা করে দাম বেশী নেবার কথা অকপটে স্বীকার করেন।এ বিষয়ে আক্তারুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান কেজি প্রতি ১ টাকা বেশী নেন তিনি।গাড়ি ভাড়া পড়ে একটু বেশী তাই ১ টাকা বেশী নিতে হয়।

স্থানীয় চাষীরা জানান সরকার যেখানে চাষীদের বাঁচাতে সারে প্রচুর পরিমান টাকা ভূর্তুকি দিচ্ছে সেখানে মিয়ারুলের ব্যাবসায়ীদের কারনে কৃষকরা চরম লোকসানের মুখে পড়ছে ও চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তারা জানান দ্রুত এর প্রতিকার না মিললে প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক সহ উদ্ধতন কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হবো তবুও এর একটা বিহিত চাই।অবৈধ এসব মুনাফালোভীদের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাতে মিয়ারুল ও আক্তারুলের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান এ ধরনের অভিযোগ পেলে সরকারী নির্ধারিত মূল্যের চাইতে যে বেশী দাম নেবে তার বিরুদ্ধে আমরা সাথে সাথে ব্যাবস্থা নেবো। এদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সাথে কথা বললে তিনি জানান এ বিষয়ে তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে অবশ্যই আমরা কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা নেবো। কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা।