কার গাছ কে কাটে!

গাংনীর করমদিতে লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কাটছেন বিপ্লব হোসেন নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। রাস্তার দু’পাশে ১৪ টি বড় আমের গাছ তার নিজের দাবি করে কাটলেও স্থানীয়দের অভিযোগ গাছগুলি সরকারি। গাছ রক্ষায় স্থানীয় প্রশানের হস্তক্ষেপ কামনা। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন স্থানীয় প্রশাসন।

জানাগেছে,মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের করমদি পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সহড়াতলা বিজিবি ক্যাম্প যাতায়াতের রাস্তার ১৪ টি আম গাছ রয়েছে। যার মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা। গাছগুলি করমদি গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে ও করমদি দারুচ্ছুন্নাহ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক বিপ্লব হোসেন নিজের দাবি করে গাছ কাটা শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ৭ টি গাছ কাটা হয়েছে বাকি গাছ কাটা অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাটা শ্রমিকদের সাথে আলাপকালে দুঃখি মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানায় তিনি বিপ্লবের শ্রমিক হিসেবে কয়েকদিন ধরে গাছ কাটছেন। ৭ টি গাছ কাটা শেষ বাকিগুলি কাটা হবে। এর বেশি আর কিছুই জানেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানায়, বিপ্লব হোসেন জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলীর ভাতিজা ও এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলছেনা। তবে গাছগুলি কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কাটা উচিৎ বলে মনে করেন অনেকে। বিপ্লব হোসেনকে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গাছগুলি সরকারি নয়। আমার ব্যক্তিমালিকানা জমিতে লাগানো হয়েছে।

এব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, বিপ্লব হোসেন আমার ভাতিজা। আমার জানামতে বিপ্লব তার মালিকানা জমিতে গাছ কাটছে। তবে দু’একটি গাছ রাস্তার জমির মধ্যে পড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারি (ভুমি) কর্মকর্তা আব্দুৃল হালিম বলেন, আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি এবং কাটা গাছ গুলি অপসারন না করা হয় সে বিষয়ে বিপ্লব ও তার লোক জনকে বলা হয়েছে। এবং উপজেলা ভুমি কর্মকর্তার কার্যালয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) মোহাম্মদ ইয়ানুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন উপসহকারি ভ’মি কর্মকর্তা আঃ হালিমকে পাঠালে তিনি সরকারি গাছ কাটার বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পান বলে জানিয়েছেন। তবে সার্ভিয়ার দিয়ে জরিপের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে উপজেলা ভুমি কর্মকর্তাকে। সরকারি গাছ হলে অব্যশই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।