ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসতভিটা দখল ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। পরিবারটির দাবী বিজ্ঞ আদালত একাধিকবার তার পক্ষে রায় দিলেও পতিত সরকারের সাবেক এমপি আনারের দোসর আব্দুল ওহাব নামে এক ব্যক্তি তার বসত ভিটা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের ফয়লা গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে লতিফুল আলম। সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী জেবা বানু ও বোনের শ^শুর ওসমান আলী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রফিকুল আলম বলেন, কালীগঞ্জের পাইকপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাবেক এমপি আনারের দোসর আব্দুল ওহাব বিভিন্ন সময় চাপে ফেলে তার বাড়ি দখল করার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আব্দুল ওহাব ও তার সহযোগীরা গত বছরের অক্টোবর মাসে তার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।
লতিফুল আলম দাবি করেন, তিনি আদালতে করা একাধিক মামলায় রায় পেয়েছেন। আদালত আব্দুল ওহাবকে উক্ত জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা অমান্য করে তার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে স্থানীয় থানার কর্মকর্তারা মালামাল নিতে বাধা দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্ত প্রভাবিত করতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটানো হচ্ছে। এমনকি সেনাবাহিনীর স্থানীয় একটি ক্যাম্পে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে বাড়ি ছাড়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবী করেন, নিজের বসতভিটা রক্ষায় তিনি একাধিকবার আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন, কিন্তু প্রভাবশালী মহলের কারণে ন্যায্য বিচার পেলেও বাড়ি রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।