কুমারখালীতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ পৌর নির্বাচন

আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র সহ ৩ প্রার্থী গণসংযোগ, পোস্টার ও কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বর্তমান মেয়র ইতিমধ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পৃথকভাবে পূণরায় জনসমর্থন পেতে বৈঠক করেছেন।

আগামী ১৬ জানুয়ারী নির্বাচনের তারিখ ধার্য হবার কারনে বৃহস্পতিবার সকালে পৌর আওয়ামীলীগের বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১ জন প্রার্থীকে বাদ দিয়ে অপর ২ প্রার্থীর মনোনয়ন পাঠাচ্ছেন কেন্দ্রে। অপরদিকে বিএনপি প্রচারণা না চালালেও ১ জন প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।

আগামী ১৬ জানুয়ারী ইভিএম পদ্ধতিতে কুমারখালী পৌর নির্বাচন। প্রাচীন এই পৌরসভা দীর্ঘদিন যাবত রয়েছে উপজেলা  আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র মোঃ সামছুজ্জামান অরুনের দখলে।

২০০০ সালে তিনি পৌর মেয়র নির্বাচিত হবার পরেরবার বিএনপির নূরুল ইসলাম প্রামাণিক আনছার নির্বাচিত হন। ২০১০ সাল এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর আবারও পৌরমেয়র হিসাবে নির্বাচিত হন সামছুজ্জামান অরুন।

এবার পৌর নির্বাচনে শক্তিশালী এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে  দলীয় মনোনয়ন পেতে জোড় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক খান ও পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা জাকারিয়া খান জেমস। অপরদিকে শক্তিশালী বিরোধী দল বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন , কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির গন-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম লিপন।

গত পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। আওয়ামীলীগের ৩ জন প্রার্থীর বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাকারিয়া খান জেমসকে বাদ দিয়ে বর্তমান মেয়র সামছুজ্জামান অরুন ও আব্দুর রাজ্জাক খানের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন , অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম লিপন।
তিনি জানান, কুমারখালী পৌরসভা বিএনপির ব্যাপক সমর্থন এবং ভোট আছে বলে মনে করেন তিনি। আর এই ভোট কে কাজে লাগিয়ে হারানো সিট আবারো বিএনপির দখলে আনতে চান এই নেতা।

কুমারখালী উপজেলা  নির্বাচন অফিসের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বানু বলেন, আগামী  ডিসেম্বরে পর ২য় ধাপে ১৬ জানুয়ারী  পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। এরি মধ্যে তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।