কুষ্টিয়ার বারুইপাড়া ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার বারুইপাড়া ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিএনপি জামাতের হরতাল অবরোধ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে মশান বাজারে এই শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে দেশসেরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জননেতা কামারুল আরেফীন বলেন, ১৯৭৩ সালের পরে এ আসনে কোন আওয়ামী লীগের এমপি ছিলোনা। যেখানে পাশের সংসদীয় আসনে বড় বড় মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেখানে হাসানুল হক ইনু এমপি নির্বাচিত হয়ে বিগত ১৫ বছরে তেমন কোন উন্নয়নমুলক কাজ করেননি, সংসদেও তেমন কোন উন্নয়নের কথা বলেননি। মিরপুর-ভেড়ামারাবাসী চিরকালই উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। তবে আমি যদি এমপি নির্বাচিত হই, তাহলে আমি মিরপুরে একটি কৃষি ইন্সটিটিউট অথবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবো।

মিরপুর-ভেড়ামারাবাসীর জন্য কিছু করতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত সময়ে এলাকার জনগন ভোট দিয়ে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলো। নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আগামী দিনেও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবো।

কামারুল আরেফিন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে জনগণের জান-মালের ক্ষতি করছে। তাদের সকল অপশক্তি প্রতিহত করতে শান্তি সমাবেশ অব্যাহত থাকবে। দেশের উন্নয়নে বাধা দিতে আসলে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে জীবনযাপনের স্বার্থে তা কঠোর হাতে প্রতিহত করবে। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা করার দরকার তাই করতে চাই। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজপথে নেমেছি, আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।

শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হালিম বলেন, ধার করা মাঝিকে না দিয়ে প্রকৃত নৌকার মাঝিকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবো। ২০০৮ সালের আগে ইনু সাহেব তিন বার এম নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু এমপি হতে পারে নি। পরে তিনি নৌকায় উঠে এমপি হয়েছিলেন। সংসদে মিরপুর-ভেড়ামারার কথা বলেন নি তিনি। এ আসনের উন্নয়ন করতে ব্যার্থ হয়েছে। তিনি বলেন, শান্তির লক্ষ্যে আমরা এই শান্তি সমাবেশ করছি। বারবার ঘুগু তুমি খেয়ে যাও ধান। সেটি আর এবার হতে দেওয়া হবে না। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কামারুল আরেফিন কে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবো।

তিনি বলেন, নৌকার মাঝি জনগণ। সুতরাং জাসদ সভাপতি হয়ে এখনো আপনি নৌকায় উঠে এমপি হতে চান। আপনি তো সুবিধা নেন আওয়ামী লীগ থেকে। আগামী ৭ তারিখে জনগণের ভোটের মাধ্যমে রায় দেবে আপনি কোন সে জাতীয় নেতা।

বারুইপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্টুর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মোমিনুল হক মোমিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম হোসেন, প্রচার সম্পাদক বিএম জুবায়ের রিগ্যান, দপ্তর সম্পাদক রাশেদুজ্জামান ছন্দ, চিথলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান এনামুল হক বাবলু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা,মিরপুর উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আসলাম আরেফিনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।