কুষ্টিয়ার মিরপুরে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্তে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল

কুষ্টিয়ার মিরপুরে করোনা ভাইরাস শনাক্তে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল চালু করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন।

গতকাল বুধবার সকালে এ কার্যক্রম চালু করেন তিনি। সম্প্রতি দেশ জুড়ে করোনা আতঙ্কে মিরপুরের মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাই চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব ও নয়। সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিতে এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে এ হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের হটলাইন ও চালু করা হয়েছে।

এর মাধ্যমে উপজেলার যেকোনো প্রান্ত থেকে ফোন করে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন যে কেউ। হট লাইন নাম্বারে ফোন এলে দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসার সহ চিকিৎসক দল ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন রোগীর বাড়ি।

নিজের ব্যক্তি গত একটি গাড়ি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ব্যবহারের জন্য দিয়েছেন চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন। সেই সাথে ওষুধ, ডাক্তারদের পিপিই, চালক এবং সার্বিক খরচও বহন করছেন তিনি।

স্থানীয় উসমান গনি বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল চালুর কথা জানতে পারি। করোনা সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে এ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ফোন দেওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যেই হাজির হচ্ছেন তারা।’

মেডিক্যাল অফিসার বল্টু হোসেন বলেন, ‘হটলাইনে ফোন পেয়ে আমরা ওয়াবদা কলোনির একটি বাড়ি যাই। সেখানে ঢাকা থেকে আসা এক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছি। সেটি ঢাকায় পাঠানো হবে। ওই বাড়ির অন্য সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান জানান, এ উপজেলার প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এবং করোনা ভাইরাসের নমুনা শনাক্তের জন্য ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন বলেন, ‘আমার মিরপুর উপজেলার মানুষ যাতে বাড়িতে বসেই ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা নিতে পারে- সেজন্য ভ্রাম্যমাণ এ হাসপাতাল চালু করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব উল আলম হানিফের নির্দেশনায়, উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই চিকিৎসা সেবা পাবেন।’

ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস, মিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জোবাইয়া ফারজানা, মেডিক্যাল অফিসার ডা. মামুনুর রশীদ প্রমুখ।