কুষ্টিয়ায় ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটসের আয়োজনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভা

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চৌধুরী মুর্শেদ আালম মধু বলেছেন, দেশের জন্য অসামান্য অবদান রাখা একজন মহিয়সী ব্যক্তিত্ব ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব। তার কাছ থেকে আমাদের শিখতে হবে। ব্যক্তি জীবনে ও রাজনীতিতে বঙ্গমাতাকে স্মরণের মধ্য দিয়ে আমরা উপকৃত হতে পারি, শিক্ষা নিতে পারি।

বুধবার (১০ আগষ্ট) সকালে কুষ্টিয়ার ডা: তোফাজ্জুল হেলথ এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ৫ম তলায় ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটসের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব শুধু একজন সার্থক নারীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সার্থক দেশপ্রেমিক। তিনি ছিলেন একজন সার্থক মা, একজন সার্থক স্ত্রী।

বঙ্গমাতা থেকে বর্তমান প্রজন্মকে রাজনীতি এবং মানবিকতা শিখতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি অনুপ্রেরণা, ভালোবাসা, শক্তি ও সাহস দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা: আমিনুল হক রতনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. আ স ম আক্তারুজ্জামান মাসুম, ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটসের চেয়ারম্যান ডা: আসমা জাহান লিজা, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাবিবুল হক পুলক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ডিভিশন ও পরিকল্পনা পরিচালক ড. মো: নওয়াব আলী খান ও বাংলাদেশ ভারত সম্প্রীতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবু নিতাই কুমার কুন্ডু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা: আমিনুল হক রতন বলেন, সমকালীন ইতিহাসের বিপ্লবী নেতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী হয়েও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব আড়ালে থাকা প্রচারবিমুখ মানুষ ছিলেন। তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন স্বল্পভাষী। কিন্তু তিনি ছিলেন অসীম সাহস ও দৃঢ় মানসিক শক্তির মানুষ। তাকে কখনও নতজানু করা যায়নি। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকার সময় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও তিনি দুই ছেলেকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছেন। বঙ্গমাতা এতটাই দৃঢ়চেতা, আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী মানুষ ছিলেন। তিনি দেশের জন্য যে কাজ করেছেন তা সামনে থাকা অনেক মানুষ করতে পারে না।

পরে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।