কুষ্টিয়ায় পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, ৩ দালালের কারাদণ্ড

কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। দালালদের দৌরাত্ম্য এবং ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে পরিচালিত এ অভিযানে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তিন দালালকে আটক করা হয়েছে। পরে আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার দুপুরে দুদক সমন্বিত কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সরকারি পরিচালক নীল কোমল পালের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দবির উদ্দিন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার চৌড়হাস আদর্শপাড়া সলক আলীর ছেলে রিপন (২৭), চৌড়হাস এলাকা ছরোয়ার হোসেনের ছেলে মহিবুল (৪০) এবং সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার আবুল কাসেমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪০)। এর মধ্যে মহিবুল এবং দেলোয়ারকে তিন মাসের কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং রিপনকে এক মাসের কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

দুদক ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষ দালালের মাধ্যমে হয়রানির শিকার এবং কিছু অসৎ কর্মচারী ঘুষের বিনিময়ে কাজ করছেন।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। পরে তারা পাসপোর্ট অফিসের ভেতর থেকে তিনজনকে আটক করে।

অভিযানের সময় পাসপোর্ট অফিস থেকে এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র তল্লাশি এবং সেগুলো পর্যালোচনা করে দুদক।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দবির উদ্দিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের পক্ষ থেকে সেখানে অভিযান চালিয়ে তিন দালালকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের কুষ্টিয়ার সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, অভিযানে হাতে নাতে তিন দালালকে আটক করা হয়েছে।

এ ছাড়া এখান থেকে বেশ কিছু নগদ টাকা উদ্ধার এবং কিছু কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে। পরে সেখান থেকে পাওয়া নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক জাহিদুল ইসলাম, সেখানকার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যসহ দালালদের বিরুদ্ধে অভিয়োগ উঠে আসে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করলে নজরে আসে দুদকের।