কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন ব্রান্ডের বীজের নকল প্যাকেট পাওয়ায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা

কুষ্টিয়ায় অসাধু ব্যবসায়িরা নামীদামি বীজ কোম্পানির নাম ব্যবহার করে বাজারে নিম্নমানের বীজ বিক্রি করছে। ওই সব বীজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত হলেও অনুমোদনহীন বীজ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে দেখা মিলছে না কৃষি বিভাগের।

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুরে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্রান্ডের বীজের নকল প্যাকেট পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল।

এসময় তিনি জানান, মিরপুর উপজেলার মহিলা কলেজ রোডে গিয়ে দেখা যায় মেসার্স মুন্সি বীজ ভান্ডারের গোডাউনে বস্তাভর্তি বীজের পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ হতে বিভিন্ন নামে বীজ প্যাকেটজাত করা হয়।

তিনি জানান, মেসার্স মুন্সি ট্রেডার্স তার নিজ নামে প্যাকেটজাত করার পাশাপাশি যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকার ঠিকানা ব্যবহার করে হাবীব সীড, দেওয়ান সীড, রাফি সীড, মুক্তা বীজ ভান্ডার, মা বীজ ভান্ডার, বিসমিল্লাহ বীজ ভান্ডার, মোশারফ বীজ ভান্ডারসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের বীজের প্যাকেট নকল করে বীজ প্যাকেটজাত করা হচ্ছে।

পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ লংঘনের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

সুচন্দন মন্ডল আরও বলেন, ‘ভেজাল ও অনুমোদনহীন বীজ বিক্রি আইনগত অপরাধ। ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিত করতে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন কুষ্টিয়া জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) সুলতানা রেবেকা নাসরীন, মিরপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোছাঃ সেলিনা আখতার ও আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন নামকরা কোম্পানির মোড়কে নিম্নমানের ধান বীজ প্যাকেটজাত করে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কৃষক না জেনে এসব নকল বীজ কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এতে ফসল ফলনে ধ্বস নামবে এবং কাঙ্খিত খাদ্য উৎপাদন হবে না। ফলে খাদ্য সংকট থেকেই যাবে।

এদিকে মানসম্মত বীজ না পেয়ে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সরকারের কৃষি বিভাগ বিষয়টি জেনেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তেমন একটা উদ্যোগী হচ্ছে না বলে জোর অভিযোগ উঠেছে।